নিজস্ব সংবাদদাতা
১২ জুলাই, ২০২৪, 1:57 PM
নগ্ন ছবি দিয়ে তরুণীকে ব্ল্যাক মেইল_রক্ষা হলোনা ঘটক দম্পতির
মোরশেদ আলম:- মফিজুর রহমান ও জুবায়দা বেগম তারা সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী। তাদের বাড়ি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানা হলেও ঘটক পেশার কারনে পরিবারকে নিয়ে সাতকানিয়া থানার বাজালিয়া গ্রামে বসবাস করে আসছিল।কিছু দিন যাবৎ বিভিন্ন মাধ্যমে ভূক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে।
পটিয়াসহ আশপাশ থানা এলাকার গরীব ও নিরীহ বিবাহযোগ্য মেয়েদের অভিভাবকের সাথে ঘটক পরিচয়ে বিবাহের কথা বলে প্রথমে মেয়েদের ছবি সংগ্রহ করে। পরে গরীব, নিরীহ ও বিবাহযোগ্য মেয়েদের সাথে পাত্রের মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলার অজুহাত দিয়ে মেয়েদের মোবাইল নাম্বার নেয়। পরে মোবাইল নাম্বার নেওয়ার পর অভিযুক্ত দুইজন পাত্রের ভাই-ভাবি সেজে প্রতারনা পূর্বক মোবাইলে মেয়েদের সাথে কথা বলে। কথা বলে গরীব সহজ-সরল মেয়েদের পটিয়ে বিবাহ করতে হলে গায়ে কোন প্রকার তিল বা দাগ থাকতে পারবে না। সহজ-সরল বিবাহযোগ্য গরীব মেয়েরা গায়ে কোন দাগ নাই জানালেও এই দুই প্রতারক বিশ্বাস হচ্ছে না জানিয়ে প্রমান হিসাবে মেয়েদের কে নগ্ন ছবি দিতে বলে। নগ্ন ছবি পাওয়ার পর দুই প্রতারক ছবি গুলো নিয়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করে তা আদায় করে আসছে।
সর্বশেষ গত বুধবার এক ভুক্তভোগী পরিবার তাদের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
এবিষয়ে পটিয়া থানার ওসি জসিম উদ্দীন জানান, এক ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তাদের কাছে একটা স্মার্ট ফোন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে তারা অভিযোগের বিষয়ে নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
#এনএল/মোরশেদ/পটিয়া