টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৬৭৪ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি
৩১ মার্চ, ২০২২, 4:15 PM

NL24 News
৩১ মার্চ, ২০২২, 4:15 PM

টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৬৭৪ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি
নিজস্ব প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে বুধবার (৩০ মার্চ) পর্যন্ত বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ৬ হাজার বস্তায় ছোলা আমদানির পরিমান ৬৭৩ দশমিক ৭৬৪ মেট্রিক টন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও কয়েকশত মেট্রিক টন ছোলা আমদানি করা হবে।
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মিয়ানমার থেকে ছোলা আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আমদানি বাড়াতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে।
মেসার্স ফারুক এন্ড ব্রাদাসের্র পরিচালক মো. ফারুক বলেন, আমদানি করা প্রতি কেজি ছোলার দাম পড়ছে ৬৪ টাকা। শ্রমিক, বন্দর ও জাহাজভাড়া বাবদ খরচ হচ্ছে সাড়ে তিন টাকা, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে নিয়ে বিক্রি করতে খরচ পড়ছে দুই টাকা। আর দেড় টাকা লাভ করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে ৭১ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে চলতি সপ্তাহের মধ্যে আরও কয়েকটি ট্রলারে করে প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন ছোলা এসে পৌঁছাবে। গত বছর মিয়ানমার থেকে তিনি প্রায় ৮০০ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবর্তে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে ছোলা আমদানি করা হলে তা তুলনামূলক কম দামে বিক্রি করা যাবে। কারণ, টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে মিয়ানমার খুব কাছে হওয়ায় পরিবহন খরচ কম পড়ছে। তাই ব্যবসায়ীরা এদিকে ঝুঁকছেন।
বুধবার (৩০ মার্চ) টেকনাফের স্থানীয় হাটবাজার ঘুরে দেখা যায়, টেকনাফ পৌরসভার বড় বাজার ও বাসস্ট্যান্ডের বিভিন্ন দোকানে মিয়ানমারের ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫ টাকা দরে। তবে এর দাম আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, গত বছর মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ৪৯১ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি করা হয়েছিল। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৮৫৭ মেট্রিক টন ছোলা এসেছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুর রহমান বলেন, রমজান মাস সামনে রেখে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীরা সে দেশে ছোলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগে যেসব ব্যবসায়ীর ছোলা কেনা ছিল, তাঁরা এখন সেগুলো নিয়ে আসছেন। তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ী লোকসান দিয়ে বিক্রি করছেন।
মিয়ানমার থেকে ট্রলারে আসা ছোলা দ্রুত খালাসের পাশাপাশি সরবরাহ করায় বিভিন্ন জেলা শহরের বাজারে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (হিসাব) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা শাহীন আক্তার বলেন, আসন্ন রমজান উপলক্ষে মিয়ানমার থেকে ছোলা আমদানি অব্যাহত রয়েছে। দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য বেশি বেশি ছোলা আমদানি করতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আরো উৎসাহিত করা হচ্ছে। সরকার ছোলা আমদানিতে কোনো ধরনের রাজস্ব আদায় করছে না। তাই ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।