ঢাকা ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা পটিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় দুই চুরি, এক আত্মহত্যা : চরম উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা

টাঙ্গাইলে আগুন লেগে এক গৃহবধূর মৃত্যু

#

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২,  3:34 PM

news image
আগুন লেগে এক গৃহবধূর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় দিগড় ইউনিয়নের গারট্র গ্রামে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কাপড়ে আগুন লেগে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

নিহত গৃহবধূর নাম হাসিনা (৩৫)। তিনি ওই গ্রামের পান ব্যবসায়ী আ. বারেক মিয়ার স্ত্রী।

মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা প্লাস্টিক অ্যান্ড ইউনিটে চিকিৎসাধীন থেকে মারা যান তিনি।

নিহতের বড় মেয়ে বর্ষা বলেন, বিকালে মা রান্না করতে যান। এ সময় আমার ছোটভাই হাসিব (২) দৌড়ে মার কাছে যাওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে যায়। দৌড়ে তাকে টেনে তুলি। এ সময় আমার মাও তাকে তোলার জন্য  চুলার সামনে পেছন দিক করে দাঁড়ান। এ সময় তার ম্যাক্সির পেছন দিকে আগুন ধরে যায়। আমি মাকে রক্ষা করার জন্য জাপটে ধরি। এতে আমার হাতও ঝলসে যায়। পরে পাশের টিউবওয়েল থেকে পানি এনে শরীরের আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আগুন নেভাতে পারিনি। মায়ের পুরো শরীর পুড়ে ঝলসে যায়।

নিহত হাসিনার জা বুলবুলি বেগম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি; তার পুরো শরীর ঝলসানো। পরে দেবর এসে তাকে কালিহাতী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা প্লাস্টিক অ্যান্ড ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে মারা যান হাসিনা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, দুই বছরের ছেলে হাসিব এদিক-ওদিক লাফালাফি করছে। আর এক মাসের শিশু হাবিব প্রতিবেশীর কোলে যেন মায়ের আদরেই রয়েছে। খাওয়ার জন্য কোনো চিন্তাই যেন তাকে গ্রাস করতে পারেনি। তার বড় মেয়ে নির্বাক; মাকে হারিয়ে যেন একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছে। মায়ের নির্মম মৃত্যুর কথা ভেবে বারবার মূর্ছা যাচ্ছে বর্ষা। নিহত গৃহবধূর লাশ এখনও গ্রামে পৌঁছেনি। লাশ আনলে স্বামীর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী