ঢাকা ১৯ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা: আবির্ভাব হলো টেস্ট টোয়েন্টি দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা

জামাইয়ের গোডাউন থেকে মালামাল লুট

#

০১ মে, ২০২২,  2:49 AM

news image

নিজস্ব প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বরগুনার বামনা উপজেলায় ডৌয়াতলা বাজার এলাকায়  মেয়ে জামাইয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকার রড, সিমেন্ট,ও স্যানিটারি মালামালসহ অন্যান্য পণ্য রাতের আঁধারে লুট করার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে।

ঘটনার পরদিন শুক্রবার বামনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবু সালেহ।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবু সালেহ বামনা ৪নং ডৌয়াতলা ইউনিয়নের খুচনীচোরা গ্রামের মৃত কাদের হাওলাদারের ছেলে। অভিযুক্ত শ্বশুর সিদ্দিকুর রহমান খান পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের ছোনবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০১১ সালে সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে নাজমা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আবু সালেহর। আবু সালেহ পেশায় একজন রড-সিমেন্ট ও স্যানিটারি মালামালের ব্যবসায়ী। বিয়ের কয়েকবছর পর শ্বশুরের কাছ থেকে ছোনবুনিয়া এলাকায় ৬ শতাংশ জমি কেনেন। পরে শ্বশুরের সঙ্গে যৌথভাবে একটি বিল্ডিং নির্মাণ করেন। এরপর তারা একসঙ্গে সেখানে বসবাস করতে থাকেন এবং বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় গোডাউন বানান আবু সালেহ।

পরে এ নিয়ে স্ত্রী নাজমা ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধের সৃষ্টি হয় আবু সালের। এসব কারণেই তার গোডাউন থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকার রড-সিমেন্ট ও হার্ডওয়্যার-স্যানিটারি মালামাল লুট করেন শ্বশুর সিদ্দিক খান। 

ভুক্তভোগী আবু সালেহ বলেন, আমার গোডাউনের সকল তালার একসেট চাবি আমার শ্বশুরের কাছে ছিল। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোডাউনের তালা খুলে আমার শ্বশুর সিদ্দিক খান রড, সিমেন্ট ও স্যানিটারির মালামালসহ অনেক কিছু লুট করে নিয়ে যায়। যার মূল্য প্রায় (৪০) লাখ টাকা।

তিনি আরও জানান, আমার স্ত্রী বাবার কুপরামর্শে আমার সঙ্গে ঝামেলা করেছে। আমি প্রতিবাদ করায় আমার গোডাউনের ভেতরের দরজা ভেঙে ৮টন রড, ৯০০ বস্তা সিমেন্টসহ ৩৫-৪০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এর সঙ্গে জড়িত সবার বিচার চাই ।

অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। 

বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলম বলেন, এ ব্যাপারে আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী আবু সালের স্ত্রী নাজমা অপর একটি জালিয়াতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী