ছনহরায় নৌকার মাঝি হলেন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে রাসেল
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৩ মে, ২০২২, 10:56 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা
১৩ মে, ২০২২, 10:56 PM

ছনহরায় নৌকার মাঝি হলেন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে রাসেল
মোরশেদ আলম, পটিয়াঃ-পটিয়া ছনহরা উপনির্বাচনঃ পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউপিতে উপনির্বাচনে নানা জল্পনা কল্পনা শেষে আ’লীগের দলীয় প্রতিকে মনোয়ন পেলেন সদ্য মারা যাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সামসুল আলমের ছেলে মো. মামুনুর রশিদ রাসেল।
শুক্রবার সন্ধায় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতে গনভবনে মন্ত্রিসভার এক জরুরী বৈঠকে দেশের বিভিন্ন জেলার ১৩৫টি ইউনিয়নের মধ্যে পটিয়া ও আনোয়ারায় উপনির্বাচন এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের মনোয়ন ঘোষণা করা হয়। যেখানে রাসেলকে দলীয় মনোয়ন দেওয়া হয়।
মো. মামুনুর রশিদ রাসেল ছনহরা ইউপির আলমদার পাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মো. সামশুল আলম ও মাতা মৃত জেসমিন আক্তারের চার সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তান। বর্তমানে রাসেল ছনহরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহাবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত পটিয়া সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ফোরামের চট্টগ্রাম জেলা শাখার সহ-সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সংসদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, কুসুম কলি পটিয়া উপজেলার শাখার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালণ করেছিলেন।
দলীয় মনোয়ন পেয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে রাসেল বলেন, আমার বাবা দেশ মাতৃকার টানে ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহীনীর বিরুদ্ধে ঝঁাপিয়ে পড়েছিলেন। আমার বাবা সবসময় দেশ ও দেশের মানুষের পাশে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার বাবাকে জীবদ্দশায় দলীয় নৌকা প্রতিক দিয়েছিলেন। এলাকার মানুষ তঁাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছেন। আমার বাবা মৃত্যুতে ছনহরা ইউপিতে চেয়ারম্যান শূন্য হয়ে যাওয়ায় আমি তঁার লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দলীয় মনোয়ন চেয়েছিলাম তিনি আমাকে মূল্যায়ন করেছেন। আমি নির্বাচিত হয়ে সকল মানুষের সুখ দূঃখ লাঘব করে সমাজ ব্যবস্থাকে একটি রোল মডেলে পরিনত করব। সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আগামী ১৫ই জুন নির্বাচনে বিপুল ভোটে আমাকে জয়যুক্ত করার জন্য সকলের নিকট অনুরাধ করছি।
প্রসঙ্গত, চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গত ২৬ ডিসেম্বর পটিয়ায় ভোট গননা হয়। ভোটের দিন ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে ছনহরায় দুটি কেন্দ্র ধাউরডেঙ্গা সারদা চরন উচ্চ বিদ্যালয় ও রমেশ-ফনিন্দ্র স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গননার নির্দেশ দেন নির্বাচন কমিশন। ৭ই ফেব্রুয়ারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নৌকার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা সামশুল আলম তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতিকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন। শপথের কয়েকদিন পর বীর মুক্তিযোদ্ধা সামশুল আলম মারা গেলে পুনরায় ভোট গ্রহনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
#মোরশেদ/এনএল