চলতি মাসেই ভেঙে দেওয়া হবে পটিয়া বিএনপির কমিটি_আসছে নতুন নেতৃত্ব
নিজস্ব সংবাদদাতা
১০ এপ্রিল, ২০২৫, 12:00 AM

নিজস্ব সংবাদদাতা
১০ এপ্রিল, ২০২৫, 12:00 AM

চলতি মাসেই ভেঙে দেওয়া হবে পটিয়া বিএনপির কমিটি_আসছে নতুন নেতৃত্ব
মোরশেদ আলম, পটিয়া:- চলতি এপ্রিল মাসের মধ্যেই ভেঙে দেওয়া হতে পারে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির বর্তমান কমিটি। কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা অনুযায়ী, তৃণমূল পর্যায়ের মতামত ও সাংগঠনিক কাঠামো মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই পরিবর্তন আসতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে থাকা বর্তমান কমিটির কর্মকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্র থেকে অসন্তোষ ছিল। এছাড়া তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ও সক্রিয়তায় ঘাটতির অভিযোগও উঠে এসেছে। এসব বিবেচনায় এনে দলকে আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে এই রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একাধিক দলীয় নেতা জানান, নতুন কমিটিতে আসতে পারেন কিছু তরুণ, উদ্যমী এবং পরীক্ষিত নেতাকর্মী, যারা মাঠপর্যায়ে সক্রিয়। এতে করে পটিয়ায় বিএনপির রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে বলে তারা আশাবাদী।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা বদরুল খায়ের বলেন, “দলকে বাঁচাতে হলে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। যে নেতৃত্ব মাঠে থাকবে না, তাদের দিয়ে দল চলবে না। আশা করছি চমকপ্রদ নেতৃত্বই আসবে।”
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতা গাজী মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, “দলকে শক্তিশালী করতে তৃণমূলের পুনর্গঠন এখন সময়ের দাবি। পটিয়ায় কিছু সময় ধরে সাংগঠনিক স্থবিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগিরই পরিবর্তন দেখা যাবে।”
পটিয়া পৌর ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রত্যাশী রিয়াজুল ইসলাম রাজু বলেন, “আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাই। আমাদের প্রত্যাশা—নেতৃত্বে এমন কাউকে আনা হবে যিনি মাঠে থাকবেন, তৃণমূলের কথা বলবেন এবং দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হবেন।”
এ বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ের নেতাদের কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য না করলেও শিগগিরই পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, পটিয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির বর্তমান কমিটি প্রায় চার বছর ধরে দায়িত্বে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সাংগঠনিকভাবে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় অনেক নেতাকর্মীই নতুন নেতৃত্ব চেয়ে আসছিলেন।