চট্টগ্রামে ২৬৪ বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডিআইজি
২২ ডিসেম্বর, ২০২১, 4:46 PM

NL24 News
২২ ডিসেম্বর, ২০২১, 4:46 PM

চট্টগ্রামে ২৬৪ বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডিআইজি
বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) বলেছেন, হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জন করেছি। এ জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের অনেকে আমাদেরকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে। আগামীতে হয়ত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সংবর্ধনা দেয়ার সুযোগ থাকবেনা। এ মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিতে পেরে জেলা পুলিশ গর্বিত। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হারিয়ে গেলে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে। তাই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনসহ নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে আগামী দিনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রস্তুত থাকতে হবে। মহান বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ ২২ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় নগরীর হালিশহরস্থ চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা পুলিশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে জেলা, মহানগর, পুলিশ ও নৌ-কমান্ডের ২৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ক্রেস্ট ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসেও আমরা এখনো নিরাপদ নই। স্বাধীনতা বিরোধী বিষাক্ত মানুষগুলো যুযোগ পেলে যে কোন মুহুর্তে দেশে আঘাত হানতে পারে। তাদের থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত থাকতে হবে, স্বোচ্ছার থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু না হলে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতাম না। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আজকে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা, সম্মানী ও কোটা থেকে শুরু করে সবকিছুই জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করে যাচ্ছেন। তিনি ক্ষমতায় না থাকলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ হতোনা। যাঁদের কারণে স্বাধীন দেশ পেয়েছি তাঁদের কল্যাণে সরকার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শুধু মহান স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী নয়, আগামীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা আরো সুন্দর ও ঝাঁকজমকপূর্ণভাবে করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতন প্রজন্মের কাছে বিকৃতভাবে বুঝানো ও শিখানো হয়েছে। কিন্ত দুর্ভাগ্য, যারা এদেশের স্বাধীনতা সহ্য করতে পারেনি তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধকে সপরিবারে হত্যা করে ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সমস্ত অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে। তারা বুঝতে পারেনি বঙ্গবন্ধু কাগজে লেখা একটি নাম নয়, বঙ্গবন্ধু বাঙালির অন্তরে ধারণ করা একটি নাম ও ইতিহাস। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সঠিক ইতিহাসকে আবার নতুন করে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস.এম রশিদুল হক পিপিএম-এর সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সুজন চন্দ্র সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (এডমিন এন্ড ফিন্যান্স) মোঃ ইকবাল হোসেন পিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন্স এন্ড ইেিন্টলিজেন্স) মোঃ সাইফুল ইসলাম বিপিএম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, আরআরএফ কমান্ড্যান্ট (এসপি) এম.এ মাসুদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মুতিচারণ করেন সাতকানিয়া উপজেলাকমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের এলএমজি ও হাটহাজারী উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল আলম। জেলা ও মহানগরীর বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আফরুজুল হক টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) মোঃ জাহাংগীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) কবীর আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবদুল্লাহ আল-মাসুমসহ জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ####