NL24 News
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 10:00 AM
গরু চোর চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ
নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার রাতে পটুয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো.শাহজাহান খান জানান, বেশ কয়েক দিনের অভিযানে গরু চোর চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। অভিযানকালে ওই চক্রের কাছ থেকে দুইটি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের বাদুরা এলাকার দারুল উলুম মাদ্রাসার সামনে আটক হওয়া মেহেদি হাসান একটি লাল বাছুর বিক্রির জন্য অপেক্ষা করে।
এঘটনায় পুলিশের এএসআই জাকির হোসেন মোল্লা বাদী হয়ে আটককৃত ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ডিবি পুলিশ মেহেদি হাসান (২৪)কে গরুর মালিকানা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে মেহেদি তার স্বপক্ষে কোন প্রমান দেখাতে পারেনি। পরে মেহেদিকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
এক পর্যায়ে মেহেদি হাসানের দেওয়া তথ্যে তার নানা বাড়ী থেকে আরও একটি কালো রঙের গাভী উদ্ধার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মেহেদি হাসান জানায় সদর উপজেলার ডিবুয়াপুরের কাদের আকনের ছেলে লিমনের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া গরুটি ক্রয় করেছেন তিনি। পরে লিমনকেও আটক করা হয়। মেহেদি হাসান সদর উপজেলার পূর্বহেতালিয়া বাধঘাট এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।
পরে মেহেদি হাসান ও লিমনের দেওয়া তথ্যে মেহেদি হাসানের বড় ভাই কবির হোসেন ওরফে কসাই কবির এবং চাচাতো ভাই মো.শাহিন সরদার (২২)কে আটক করা হয়।
একই অভিযানে শহরের কলাতলা এলাকার বাসিন্দা মজিবুর রহমানের ছেলে মো.কামাল হোসেন গাজী (২৪) ও কেওরাবুনিয়ার মৃত কাশেম হাওলাদারের ছেলে মো.স্বাধীন হাওলাদার (২৮)কে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি পটুয়াখালীতে অন্তত দুই ডজন গরু চুরির ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। এই চক্রটি গরু কেনা-বেচা এবং কসাই কাজে জড়িত। রাতের আঁধারে চক্রটি গরু চুরি করতো এবং দিনে তারা বাজারে জবাই করে মাংস বিক্রি করত। চক্রটির সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।