NL24 News
১১ মার্চ, ২০২৪, 2:11 PM
কুতুবদিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান হালিমের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সিটিপার্ক
কক্সবাজার অফিস:
কক্সবাজারের সাগরদ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলায় বিনোদনের জন্যে নির্মিত করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সিটি পার্ক। নব নির্মিত এই পার্কের এক পাশে বাস টার্মিনাল, যাত্রীছাউনি, দোকানপাট, টয়লেট এবং অন্য পাশে ফুলের বাগান তৈরির প্রস্তুতি চলছে। সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত ও শ্রীহীন হয়ে পড়া একটি পুরোনো খালের পাশে নির্মিত হচ্ছে এই ‘সিটি পার্ক’। অথচ রাস্তার পাশের এই খাল ময়লা আবর্জনায় সবসময় নোংরা অবস্থায় থাকতো।এই পার্ক নির্মিত হলে বদলে যাবে এখানকার পরিবেশ। ধূরুং বাজারের উত্তর পাশে তিন রাস্তার সংযোগস্থলে পরিত্যক্ত জমির অংশে এই পার্ক নির্মিত হচ্ছে।
অবহেলিত দ্বীপ কুতুবদিয়ায় মানুষের বিনোদনের জন্যে একটি পার্কের অভাব দীর্ঘদিনের। নব নির্মিত এই পার্ক সম্পন্ন হলে স্থানীয় বাসিন্দা ও ট্যুরিষ্টদের জন্যে আকর্ষনীয় একটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে বলে ধারণা সচেতন মহলের।
এবিষয়ে উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল হালিম সিকদার বলেন, এখানে তৈরি হবে দৃষ্টিনন্দন সিটি পার্ক। যেখানে থাকবে বাস টার্মিনাল, যাত্রীছাউনি, টয়লেট ও ফুলের বাগান। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব এবং সড়কের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সিটি পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। সড়কে নির্মাণ করা হবে বঙ্গবন্ধুর নামে বড়সড় একটি গেট। মাটি ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণের বিপরীতে ইতিমধ্যে তিনি ১৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করা হয়েছে, আরও অনেক টাকা খরচ হবে এখানে ।
এই পার্ক নির্মিত হলে এই এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি বদলে যাবে। শ্রীহীন ও আবর্জনার স্তূপ হয়ে থাকার চেয়ে এই স্থানে একটি পার্ক হলে পাল্টে যাবে দৃশ্য। পাশাপাশি মহিলাদের জন্যে তৈরি করা হচ্ছে পাবলিক টয়লেট। এতে করে দীর্ঘদিনের অভাব মুছে যাবে। এছাড়া পানি নিষ্কাসন নির্বিঘ্ন রাখতে খালের পানি চলাচলের জন্যে আলাদা করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি করে দেয়া হবে।
চেয়ারম্যান হালিম জানান, ভাল কাজ দেখলে কিছু মানুষ সইতে পারেনা। ভাল কাজের বিরুদ্ধে লাগতে হবেই। আগের ইউএনও দীপঙ্কর তঞ্চঙ্গ্যা সড়কের যানজট নিরসনে খাল ভরাট করে বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আমাকে অনুমতি দিয়েছিলেন। বর্তমান ইউএনও রাশেদুল ইসলামও সিটি পার্ক নির্মাণের বিষয়ে অবগত আছেন। এখানে পানি নিষ্কাসনের জন্যে আধুনিক পদ্ধতিতে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পানি চলাচলে কোন ধরনের সমস্যা হবেনা।