ঢাকা ১৯ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা: আবির্ভাব হলো টেস্ট টোয়েন্টি দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা

কালবৈশাখী কেড়ে নিল নারীর প্রাণ

#

২৭ এপ্রিল, ২০২২,  8:38 PM

news image

নিজস্ব প্রতিনিধি : মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে হঠাৎ শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। 

লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ঘরবাড়ি, উপড়ে গেছে গাছপালা। ক্ষতি হয়েছে বোরো ফসলেরও। আবার অনেক জায়গায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে গেছে।

এসময় ঘরের পাশের গাছ ভেঙে পড়ে এক এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয় আরও চার ব্যক্তি।

মারা যাওয়া ওই নারীর নাম মজিদা খাতুন (৫৫)। তিনি উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায় মৃত-মুসলিম উদ্দিনের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে হঠাৎ শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অনন্ত দুই শতাধিক বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক ৯টি খুঁটি ভেঙে গেছে, তার ছিঁড়ে গেছে ৪০টি এলাকায়। ধানি জমির পাকা ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। সবজিখেতও নষ্ট হয়েছে।

ঝড়ের পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তাছাড়া এ সময় বাহাদুরপুর এলাকার মজিদা খাতুনের ঘরের পাশে থাকা একটি জাম গাছ ভেঙে ঘরের চালে পড়লে গাছ ও চালের ছাপায় মজিদা ঘটনাস্থলেই মারা যান।

নাজিরপুর এলাকার বাসিন্দা কায়রুল আলম বলেন, তার দুটি ও বিমল চন্দ্র সাহার একটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ে গাছ এসে ঘরের ওপর পড়ে।

তারই মতো বড়খাপন এলাকার মঞ্জুরুল হক বলেন, তার একটি ঘরের চাল ধসে পড়ে বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তার ছিঁড়ে যায়।

কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান বলেন, ঝড়ে বৈদ্যুতিক নয়টি খুঁটি ভেঙে গেছে। তাছাড়া ৪০টি এলাকায় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে লাইন নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলোর মেরামত চলছে।

কলমাকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক আহম্মেদ বলেন, এই ঝড়ে ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। এলাকায় অফিসের লোকজন কাজ করছে। যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের তালিকা তৈরা করা হচ্ছে। তাছাড়া নিহত পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে।

নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য মানু মজুমদার জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী