ঢাকা ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা পটিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় দুই চুরি, এক আত্মহত্যা : চরম উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা

করোনা হয়ে ৫০ দিন কোমায়, জেগে দেখলেন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন

#

১৪ ডিসেম্বর, ২০২১,  12:07 PM

news image

৩৩ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষিকা লরা ওয়ার্ড অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোমায় চলে যান। এরপর তার জ্ঞান ফেরে ৫০ দিন পরে। এরমধ্যেই তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। অর্থ্যাৎ কোমা থেকে ফিরে ওই স্কুল শিক্ষিকা দেখলেন ফুটফুটে নবজাতক।

জন্মের প্রথম মাস মাকে ছাড়াই কাটিয়েছে লরা ওয়ার্ডের মেয়ে। লরাও শুনতে পাননি সন্তানের প্রথম কান্না, অনুভব করেননি প্রথম স্পর্শ। মেয়ের প্রথম অনেক কিছুই না-দেখা রয়ে গেল তার। অক্টোবরের মাঝামাঝি সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা ছিল এই স্কুল শিক্ষিকার।


তবে তার প্রসব করানো হয় নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগে জুলাইয়ের শেষ দিকে। 

লরা তখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোমায়। আগেই তিনি শুনেছেন, সময়ের অনেক আগে প্রসব না করালে মা-সন্তান কেউই বাঁচবেন না। জ্ঞান হারানোর আগে লরা মাথা নেড়ে সম্মতি দিয়েছিলেন অস্ত্রোপচারের। 

এরপর তার ঘুম ভাঙে ৩০ সেপ্টেম্বর। 

জ্ঞান ফেরার পর শুরু হয় নতুন যন্ত্রণা। শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ অক্ষম হয়ে পড়েছিলেন লরা। হাতের একটা আঙুলও নাড়াতে পারছিলেন না। লরা বলেছেন, মেয়েকে চোখের সামনে দেখে তাকে নিজের হাতে না ধরার কষ্ট তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল। 

পুরো পরিস্থিতিটাই ছিল ভয়ানক হতাশার। 

তারপরও ক্রমাগত লরাকে সাহস জুগিয়ে গিয়েছেন স্বামী এবং বড় ছেলে উইলিয়াম। লরা জানিয়েছেন, বেঁচে থাকতে গেলে প্রাথমিক যে কাজগুলো করা দরকার, তার কোনোটিই করতে পারছিলেন না তিনি। শিশুর মতোই খাবার খাওয়া, ব্রাশ করা, এমনকি হাঁটাও শিখতে হয়েছে তাকে। 

জুনের শেষের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন লরা। তারপর থেকে পাঁচটি হাসপাতালে বিভিন্ন পর্যায়ে চিকিৎসা হয়েছে তার। এখনও তিনি বাড়ি ফিরতে পারেননি। এদিকে লরার স্বামী লি শপথ করেছিলেন যে স্ত্রী সুস্থ হয়ে বাড়ি না ফিরলে সদ্যোজাত কন্যার নামকরণও করবেন না। সেই প্রতিজ্ঞা অবশ্য লরার অনুরোধেই ভাঙতে হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী কন্যার নাম রেখেছেন হোপ। 

নামের বিষয়ে একটু বেশিই অনুভূতিপ্রবণ ছিলেন লরা। হোপ মানে আশা। যা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী