ঢাকা ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা পটিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় দুই চুরি, এক আত্মহত্যা : চরম উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা

কথা না শুনলে জিএম কাদের মাইনাস

#

০৫ ডিসেম্বর, ২০২২,  7:08 PM

news image

জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ ৫ মাস ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সে সময়ই তাকে মাইনাস করার একটা প্রক্রিয়া শুরু হয় দলে, যাতে জি এম কাদেরের প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিলো বলেই মনে করা হয়। একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিলো, রওশন এরশাদ প্রকৃত অর্থেই কোনঠাসা হয়ে পড়ছেন। কিন্তু সুকৌশলেই সে অবস্থা কাটিয়ে উঠেছেন তিনি, বিভিন্ন সমীকরণ থেকে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এখন জি এম কাদেরের অবস্থাই টালমাটাল, যার নেপথ্যে রওশনই কলকাঠি নাড়ছেন বলে জানা গেছে। 


রওশন দেশে ফেরার আগেই তার পক্ষের এক নেতা এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা মামলা করেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে। সেই মামলার রায়ে নিম্ন আদালত কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও চেম্বার আদালত আবারো নিষেধাজ্ঞা বহাল করেন। এই পরিস্থিতিতে রওশন এরশাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পদক্ষেপ নেন জিএম কাদের। 


রওশন এরশাদ দেশে ফিরে হোটেল ওয়েস্টিনে উঠেছেন। সেখানেই তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন জি এম কাদের। আলোচনার বিষয়বস্তু প্রকাশ না পেলেও দূরত্ব কমানোর উদ্যোগ হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু সেই বৈঠকে জি এম কাদেরের অনুকূলে কিছু ঘটেনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে। এরপর জিএম কাদের তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেন।  এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। আলোচনার প্রথম ইস্যু ছিলো জাতীয় পার্টিতে চলমান সংকট নিরসন। এই লক্ষ্যে জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার। দ্বিতীয়ত জিএম কাদেরের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত একজন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগ এবং সেই পদে নিজের নামই প্রস্তাব করেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেগম রওশন এরশাদ ব্যারিস্টার আনিসুল হকের কোনো প্রস্তাবেই সাড়া দেননি। বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, এই মূহূর্তে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার মতো কেউ নেই, আপনাকেও করা যাচ্ছে না। কারণ কেউ আপনাকে মেনে নিতে চাইবে না। এতে দলের আরও ক্ষতি হবে।

জানা গেছে, নির্ধারিত সময় ১ জানুয়ারিতেই দলের সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন রওশন এরশাদ। এই কাউন্সিলেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হবেন বিরোধীদলীয় সংসদ নেতা রওশন এরশাদ এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান হতে পারেন রাহ্গীর আল মাহি এরশাদ সাদ। জিএম কাদেরকে রওশন এরশাদের নেতত্বে রাজনীতি করার প্রস্তাব দেওয়া হবে। যদি এই প্রস্তাব মেনে নেন, তাহলে জি এম কাদের জাতীয় পার্টিতে রাজনীতি করতে পারবেন। অন্যথায় আসন্ন কাউন্সিলে তিনি দলের প্রাথমিক সদস্যপদও হারাতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব,আমাদে সময়

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী