ঢাকা ২১ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা: আবির্ভাব হলো টেস্ট টোয়েন্টি দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা

কক্সবাজার এলও অফিসে দালালের অপতৎপরতা একজনের টাকা তুলে নিচ্ছে অন্যজন

#

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,  10:12 PM

news image

 কক্সবাজার অফিস 

আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ভূমি অধিগ্রহনের টাকা উত্তোলনে মরিয়া কক্সবাজার সদর ও রামুর একটি শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেট।ইতিমধ্যে  প্রকৃত জমির মালিকের টাকা অবৈধ পন্থায় তুলে উধাও হয়েছে অনেক দালাল।সাবেক জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তহশীলদার,সার্ভেয়ার, কাননগো, একাধিক দালাল অনিয়ম,দূর্নীতিও নানা অভিযোগে   তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জেল কেটেছে। এসব মামলা এখনো চলমান রয়েছে। 

এখনো কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় বন্ধ হয়নি অনিয়ম,দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্য। এ কাজে বরাবরই  সহযোগিতা করে যাচ্ছেন  জেলা প্রশাসন ও ভূমি অধিগ্রহন শাখার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী।

ভুক্তভোগী  কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর মোহাম্মদ হাসান ও মনজুর আলম জানান, জনৈক মহেশখালীর  আমান,কক্সবাজার পৌরসভার   , নুনিয়াছড়ার  হাসান, শাহজাহান, জুয়েল, জাফর, দিদার,বরখাস্তকৃত তহশীলদার জয়নাল,রিদোয়ান,আনোয়ার, আলমগীর, মুজিব,সেলিম,শামশুল আলম,আনচার,করিম,নজরুল বাবর সহ  ৮০ /৯০  জনের শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেট  এল ও অফিসের দালালী করে জিরো থেকে এখন হিরো।  খোঁজ নিয়ে জানাগেছে এর মধ্যে অনেকে ইতিপূর্বে দুদকের হাতে দালালীপনা করতে গিয়ে আটক ও হয়েছিল।  সর্বশেষ  রামু ও কক্সবাজার সদরের দুই টি এলএ মামলা নিয়ে একের পর এক নাটকীয় ঘটনা ঘটছে। ফাইল গায়েবের মতো ঘটনা ঘটছে ,আদলতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তড়িঘড়ি করে প্রতিপক্ষের হাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দালালের মাধ্যমে বিরোধীয় জমির অধিগ্রহণের কোটি কোটি টাকা তুলে দেয়ার পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন এল এ মামলার বাদী পিএমখালীর মোহাম্মদ হাসানসহ অনেকে।তিনি গনমাধ্যমকে জানান,রামু ফতেহারকূল মৌজার এল এ মামলা নং ৩/২০১৬-২০১৭ যার বিএস খতিয়ান নং ১৯৬,৯০৬ ও কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা মৌজার এল এ মামলা নং ০৪/২০১৬-২০১৭ যার বিএস খতিয়ান নং ১৩৭৭,৮৭৩,২৭৫,৫৭১ ও ১৪৯৪ খতিয়ান ভূক্ত জমি অধিগ্রহন করা হলে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়।  তারপর ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ বাধ্য হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শ্রবণ  করে গত ২০ ফেব্রুয়ারী  মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহনের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ প্রদান করেন।ওই মামলায় ডিসি,এডিসি( রাজস্ব)ও এল ও কে ও বিবাদী করা হয়েছে।

এল এ  মামলা নং ০৪/২০১৬-২০১৭ এর বাদী মনজুর আলম ও গিয়াস উদ্দীন জানিয়েছেন, দালাল মো আমান ইতিপূর্বে ভূল তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে  ঝিলংজা মৌজার উল্লেখিত খতিয়ানের অধিগ্রহনকৃত জমি থেকে  সাড়ে তিন কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। অবশিষ্ট টাকা ও অবৈধ পন্থায় উত্তোলনের জোর পায়তারা চালাচ্ছেন। দালাল আমান মহেশখালী, চকরিয়া, কক্সবাজার ও রামুর শত শত একর অধিগ্রহনকৃত  বিরোধীয় জমির  টাকা উত্তোলন করে শত কোটি টাকা  হাতিয়ে নিয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে। 

যতই দুদকের অভিযান চলুক,গ্রেফতার ও টাকা উদ্ধার করা হোক না কেন কিছুতেই ভূমি অধিগ্রহন শাখায় দালালের উৎপাত কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না।অসংখ্য ভুক্তভোগীর অভিযোগ দালালের মাধ্যমে মোটা অংকের কমিশনের টাকা না আসা পর্যন্ত   কোন ফাইল নড়ে চড়ে না। শুধু তাই নয়, যাদের জমি অধিগ্রহনে পড়েছে তাদের টাকা উত্তোলন করতে গেলে আগে দালালের মাধ্যমে অগ্রিম চেক বা নগদ টাকায় গুনতে হয়। টাকা না থাকলে শতকরা ৫ শতাংশ সুদে   টাকা ধার দেয়ার ও একাধিক দালাল ঘুরঘুর করছে ডিসি অফিসের আশেপাশে। শহরের বিভিন্ন হোটেল ও বাসাবাড়িতে শতাধিক দালালের অফিস রয়েছে।যাদের কাজ হচ্ছে ৩০/৫০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা দালালের মাধ্যমে কেটে রেখে ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমে হরিলুট চলছে। দূর্বলের টাকা তুলে নিচ্ছে সবলরা। এ ভাবে চলছে কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহনের দৈনন্দিন কার্যক্রম।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহীন ইমরান জানান,দালালদের মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহনের টাকা  পরিশোধ না করতে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। যে সব ভূমি নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা রয়েছে বা আদালতের নির্দেশনা আছে সে সব জমির অধিগ্রহণের টাকা  যতাযত আইন মেনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।   কোন কর্মকর্তা কর্মচারী অনিয়ম বা দূর্নীতি করে থাকলে, এ ধরনের অভিযোগ বা প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।তবে আইনী জটিলতায় পড়ে কেউ হয়রানীর শিকার হলে  তা মানবিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখা হচ্ছে।এসব বিষয় গনশুনানীর ব্যবস্থা করে দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। 

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী