ঢাকা ২২ নভেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
সেনাকুঞ্জে হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া, যা বললেন ড. ইউনূস ইতিহাসে প্রথম ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হলো রংপুর পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা যুক্তরাষ্ট্রে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে মামলা, নেপথ্যে কী ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য ভাতা দেবে যুক্তরাজ্য গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আমেরিকায় গ্রেপ্তার ফ্যাসিবাদী বয়ান দেওয়া গণমাধ্যম চিহ্নিত করা হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও ৫ দিনের রিমান্ডে

উন্নত চিংড়ি উৎপাদন হবে কক্সবাজারে

#

০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২,  9:15 PM

news image

কক্সবাজার অফিস 

প্রথমবারের মতো দেশের ইতিহাসে  কক্সবাজারে চিংড়ির লাইভফিড  (মাইক্রোএলজি) উৎপাদন হচ্ছে। আগে বাগদা পোনার হ্যাচারিতে আবশ্যিক প্রয়োজনীয় এ লাইভফিডটি বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চমূল্যে কিনতে হতো। এ মাইক্রোএলজি আমদানি করতে গিয়ে চিংড়ি হ্যাচারিগুলোর মালিকদের ভোগান্তি ও উৎপাদন খরচ বাড়তো। কিন্তু এখন থেকে বাড়তি ব্যয় রদ হবার পাশাপাশি কমবে ভোগান্তিও। এতে, সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি- বাঁচবে বৈদেশিক মুদ্রা। যা হ্যাচারি মালিকদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। 

 

গত বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের সম্মেলন কক্ষে 'চিংড়ি হ্যাচারিতে ব্যবহৃত মাইক্রোএলজি চাষ ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। 

 

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্র কক্সবাজারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে হ্যাচারিতে চিংড়ির পোনা উৎপাদনের জন্য থাইল্যান্ড, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চমূল্যে মাইক্রোএলজি (পোনার এক ধরণের প্রাকৃতিক জীবন্ত খাবার) আমদানি করে ব্যবহার করতে হতো। ২০১৪ সাল নাগাদ হ্যাচারি মালিকগণ মাইক্রোএলজির উৎস হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ওপর নির্ভরশীল ছিল। প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে মাইক্রোএলজি আমদানি করতে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতো ব্যবসায়ীরা।



প্রশিক্ষণে আরও জানানো হয়, প্রজাতিভেদে এই মাইক্রোএলজির প্রতি ৫-১০ মিলিলিটার এর জন্য ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়। ভিনদেশের প্রজাতি হওয়ায় এই প্রজাতিগুলো চাষের পর্যায়ে আনার ক্ষেত্রে হ্যাচারিতে বিভিন্ন জটিলতারও সৃষ্টি করতো। চিংড়ির পোনা উৎপাদন পরবর্তী ব্যবহারকৃত মাইক্রোএলজির সামান্য মজুদ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে, পরবর্তী বছর ব্যবহার করা হয়। যার দরুন মাইক্রোএলজি চাষে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল দূষণ পরিলক্ষিত হতো। কক্সবাজারে মাইক্রোএলজি উৎপাদনের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সেই চিংড়ি হ্যাচারির জটিলতা ও সমস্যা দূরীভূত হচ্ছে।

 

কক্সবাজার সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ও সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জাকিয়া হাসান জানান, মাইক্রোএলজি নামে চিংড়ি পোনার খাদ্য আগে বিদেশ থেকে আমদানি করা হলেও ২০১৮ সাল হতে এটি দেশে প্রথম উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে গবেষণায় মাইক্রোএলজি খাদ্যসহ আরো ৫ প্রকারের খাদ্য আমাদের সমুদ্রসীমা থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে। উৎপাদিত এ খাদ্য দেশে বিভিন্ন মৎস্য হ্যাচারি ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে গবেষণার কাজে সরবরাহ করা হচ্ছে। বিদেশ হতে আগে এটি বৈদেশিক মুদ্রায় হ্যাচারি মালিকরা কিনে আনলেও এখন এসব মাইক্রোএলজি ফ্রি-তে সরবরাহ করা হচ্ছে। আর এর উৎপাদনে অর্থ ব্যয় করছে সরকার। 

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও শ্রীম হ্যাচারি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব) সভাপতি আশেক উল্লাহ রফিক।

 

সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জাকিয়া হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আশরাফুল হক, শাহিনুর জাহিদুল হাসান, আহমেদ ফজলে রাব্বি, সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রায়হান হোসাইন, জাহিদুল ইসলাম, তুরাবুর রহমানসহ বিভিন্ন মৎস্য হ্যাচারি সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। 



logo

সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

নির্বাহী সম্পাদক : শাহ এম রহমান বেলাল