উত্তরাঞ্চলে শীতের দাপটে জবুথবু জনজীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, 10:45 AM

নিজস্ব সংবাদদাতা
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, 10:45 AM

উত্তরাঞ্চলে শীতের দাপটে জবুথবু জনজীবন
রংপুরসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে কনকনে ঠান্ডা আর ঘনকুয়াশায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে দুর্ভোগ আর ভোগান্তি বেড়েছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। আজ বুধবার সকাল ৬টায় রংপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে সূর্যের দেখা মেলেনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি, দিনাজপুরে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি, সৈয়দপুর ১৪ ডিগ্রি, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি, নীলফামারীর ডিমলায় ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ঠাকুরগাঁওয়ে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি, লালমনিরহাটে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও গাইবান্ধায় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
উত্তরাঞ্চলের অনেক জেলা রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে। ধোঁয়া আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুশায়া পড়ছে। রাতভর নগরীর ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে বাড়ছে ভিড়। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী তিন থেকে চারদিন তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে।
ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে তাপমাত্রা আট থেকে নয় ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
নগরীর সেনপাড়া এলাকার আল-আমিন মিয়া বলেন, ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকে শীত জেঁকে বসেছে এ অঞ্চলে। মানুষ ছুটছে গরম কাপড় কিনতে ফুটপাতে। তবে এ সয়ম বেশি বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ।
অটোরিকশাচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘অতিরিক্ত ঠান্ডার ফলে লোকজন বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তাই অটো ভাড়া হচ্ছে কম। সকাল থেকে রাত পযন্ত যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে অনেক কম।’
এদিকে কনকনে শীতে জবুথুবু হলেও নিম্ন আয়ের মানুষকে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে কাজের সন্ধানে। তবে সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। শীতের সাথে ঘন কুয়াশায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা রংপুরসহ উত্তরাঞ্চল। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে নিম্নআয়ের মানুষ পড়েছে ভোগান্তিতে। ঘনকুয়াশার ফলে সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। অনেক জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি জমির ফসল। শীতের প্রকোপ প্রতিদিন বেড়ে যাচ্ছে। তবে ডিসেম্বর মাসে শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা নেই। গত বছরের চেয়ে চলতি বছর শীতের প্রকোপ অনেকটাই বাড়বে।