NL24 News
১৭ অক্টোবর, ২০২৩, 2:35 PM
আব্দুল আহাদ চৌধুরী একজন নিঃস্বার্থ জনপ্রিয় জননেতা।
নজরুল ইসলাম ::
স্বার্থসংশ্লিষ্টতার ঊর্ধ্বে উঠে যে রাজনীতি করা যায়, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রভাবশালী নেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। রাজনীতিতে তার একটা বর্ণাঢ্য পরিচয় রয়েছে। ছাত্রনেতা, আওয়ামী লীগ নেতা- কমিউনিটি নেতা, মানবাধিকার নেতা এমন অনেক বিশেষণে তাকে বিশেষায়িত করা যায়।
যারা ভালো ছাত্র তারা লেখাপড়া শেষ করে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। যারা ভালো ও জনপ্রিয় নেতা তারা রাজনীতি করে এমপি মন্ত্রী হতে চান। ব্যতিক্রম যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরীর বেলায়। তিনি স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার ঊর্ধ্বে থেকে দেশ, দল ও জনগণের সেবায় নিজের পকেটের টাকা খরচ করে বছরের পর বছর কাজ করেই চলছেন।
আব্দুল আহাদ চৌধুরী যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, এমপি মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী পরিবারের সংস্পর্শে আসার সুযোগ হয়। আহাদ চৌধুরীর রাজনৈতিক চরিত্রের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিক হলো তিনি কারো নাম বিক্রি করেন না, দলের নাম বিক্রি করে ধান্দা করেন না, ফটো বিক্রি করেন না, তিনি রাজনৈতিক টাউট নন, একজন দৃঢ়চেতা সৎ, সাহসী, প্রজ্ঞাবান, স্পষ্টবাদী রাজনৈতিক নেতা। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে দ্বিধাবোধ করেন না।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে এবং, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থেকে আব্দুল আহাদ চৌধুরী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা হিসেবে দলীয় আদর্শের প্রতি অনুগত্ থেকে দিনরাত কাজ করেই চলছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য গুছিয়ে নিয়ে রাজনীতি, কমিউনিটির কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। মানুষের সুখ দুঃখে তিনি পাশে থাকেন, সুখ দুঃখ শেয়ার করেন -যা আব্দুল আহাদ চৌধুরীর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বলতে হয় তিনি মানুষের সুখ দুঃখের সারথি।
বড় বড় মানুষের সাথে ফটো তুলে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে নিজেদের বড় ভাবার কোন অবকাশ নেই। আপনি নেতা না হয়ে যদি নেতা সাজেন তা দেখতে বড় বেমানান লাগে। কথায় আছে দেখতে সুন্দর কাউয়ার লুলি! ইংরেজিতে একটা শব্দ আছে pretending এর অর্থ হলো ভান করা, অর্থাৎ একজন মানুষ যা না তা ভান বা pretend করা। রাজনীতিতে বানর স্বভাবের লোকে লোকারণ্য। আব্দুল আহাদ চৌধুরী ব্যতিক্রম। এই সময়ে যুক্তরাজ্যে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা হয়ে সকলের আস্থা অর্জন করেছেন।
নিজেকে নেতা দাবি করবেন, অথচ মানুষ সুখ দুখে দুঃসময়ে আপনাকে পায় না, প্রশ্ন থেকেই যায় আপনি কেমন নেতা ? বেশিরভাগ কর্মী মনে করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী আমাদের হাতের ঝুড়ি! তিনি মানুষের রোগ-শোক বালা-মুসিবতে, ঈদ পূজা-পার্বণে স্বপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে আসেন। কেউ অসুস্থ হলে তার জন্য দোয়ার আয়োজন, পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া তার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
দেশে কোর্ট এলাকায় কিছু ধান্দাবাজ লোকদের আনাগোনা আজও স্মৃতি পটে। ধান্দা ছাড়া তাদের আর কোন যোগ্যতা নেই। হাইকোর্ট, জজ কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, মুখে তাদের বড় বড় উকিল ব্যারিস্টারদের নাম, আইনের ধারা- যা সহজ সরল মানুষজনদের বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দেয়। তারা ভাবে এইলোক কিভাবে এত ক্ষমতাধর। আসলে তার কোন যোগ্যতা নেই সে simply ধান্দাবাজ। আজকাল রাজনীতিতে এমন ধান্দাবাজি লোকের অভাব নেই।
দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন, স্বজনপ্রতি, আত্মীয়করণ আমাদের দেশ থেকে উধাও হয়ে যায়নি। রাজনীতিবিদ এবং আমলাদের সাথে যারা টাউটিং করতে পারে, যারা অনৈতিক অবৈধ পথে টাকা পাচার, মানিলন্ডারি বা হুন্ডি এমন সব ক্রিয়াকর্মের সাথে সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত তারা যখন একটি রাজনৈতিক দল বা কমিউনিটির বড় নেতা হয়ে ওঠে তখন এই রাজনৈতিক দল এবং কমিউনিটি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়।
গত ৩ রা অক্টোবর ২০২৩ই, সেন্ট্রাল লন্ডনের তাজ হোটেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দের কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনোযোগ দিয়ে শোনেন, কোন বিশেষ নেতা বা ব্যক্তি বিশেষের কথা নয়, সকলের কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। উপস্থিত সকলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন প্রশ্ন, স্মৃতিচারণ, দাবি দাওয়া ও এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। আবার অনেকেই নিজে এমপি হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রায় ৪২ জন বক্তা মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য দিতে গিয়ে "আমি এমপি হতে চাই" বলেননি আব্দুল আহাদ চৌধুরী। তার বক্তব্যে বিশেষ করে স্বাধীনতা যুদ্ধ ও পচাত্তর পরবর্তী আজ পর্যন্ত জেলার রাজনৈতিক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরেন। বলেছেন,"মাননীয় নেত্রী, মৌলভীবাজারে সরকারি মেডিকেল কলেজ অতি-আবশ্যক । উনার সহজাত তেজস্ক্রিয় লাউড, স্পষ্ট বক্তব্য উপস্থিত সকলের হাততালিতে আরো নোটেবল ছিল। নেত্রী নিজের হাতে নোট করে নেন। পাশাপাশি মৌলভীবাজারের বিভিন্ন রাস্তাঘাট পাকাকরন, নদী খনন, সেতু নির্মাণ, আজ থেকে তিন বছর পূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে মৌলভীবাজার জেলা সদরে মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়নের জন্য যে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন তা স্মরণ করিয়ে দেন আবারো। দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি নিজের জেলা মৌলভীবাজারের উন্নয়ন কথা উল্লেখ করেন।
নির্বাচনের পর যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দাবি করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা ধৈর্য সহকারে সহাস্যে বক্তব্য শোনেন এবং নিজের হাতে নোট করে নেন। জনাব আব্দুল আহাদ চৌধুরীর দূঢ়চেতা ও স্বভাবসুলভ উচ্চস্বরে বক্তৃতা উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বার বার হাত তালি দিয়ে সমর্থন করেন। এছাড়া উপস্থিত সকলেই বক্তব্য রাখেন!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা সভায় আহাদ চৌধুরী যখনই বক্তব্য রাখেন তার পক্ষে করতালি আর উল্লাসে হলভর্তি মানুষ একাকার হয়। তার তেজস্ক্রিয় লাউড বক্তব্য প্রায়ই প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিকাড়ে।
#নজরুল ইসলাম
ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট