আগুনে পুড়ে গেল ২১৬৫ রোহিঙ্গা বসতি : তদন্ত কমিটি গঠন
০৭ মার্চ, ২০২৩, 12:55 AM

NL24 News
০৭ মার্চ, ২০২৩, 12:55 AM

আগুনে পুড়ে গেল ২১৬৫ রোহিঙ্গা বসতি : তদন্ত কমিটি গঠন
কক্সবাজার অফিস
কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ে গেছে ২১৬৫ বসতবাড়ি । ১২ হাজার রোহিঙ্গা হারিয়েছেন তাদের বাসস্থান।
রবিবার (৫ মার্চ) রাতে আগুনের কারণ অনুসন্ধান করতে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ানকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান জানান, গঠিত কমিটিতে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস, এপিবিএন, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা সদস্য রয়েছেন।
সোমবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে কারণ বের করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ২১৬৫ ঘর আগুনে পুড়ে যায় । এতে প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গা ঘর হারিয়েছেন ।
সোমবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে তাদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম আশ্রয়হীন রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী ঘর তৈরি করবে। জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা ডাব্লিউএফপি রোহিঙ্গাদের জরুরি খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হচ্ছে। নিখোঁজ কিংবা হতাহতের কোনো ঘটনা নেই। ঘটনাস্থলে ৫টি মেডিকেল টিম রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। সেখানে ৯০ জন কমিউনিটি হেলথ কর্মী কাজ করছেন।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ( এপিবিএন) এর অধিনায়ক মোঃ আমির জাফর বলেন, আগুনে প্রায় ২ হাজারের অধিক ঘর পুড়ে যায় । যেখানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১২ হাজার রোহিঙ্গা।
পুড়ে যাওয়ার মধ্যে ৩৫টি মসজিদ-মক্তব, ২টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, হেল্প পোস্ট, যুব কেন্দ্র, নারীবান্ধব কেন্দ্র , শিক্ষাকেন্দ্র, শিশুবান্ধব কেন্দ্র ও মানসিক পরিচর্যা কেন্দ্র রয়েছে।
এরমধ্যে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের ঘটনাটি পরিকল্পিত নাশকতা বলে দাবি করছেন সাধারণ রোহিঙ্গারা।
ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। তদন্ত কমিটি অনুসন্ধানের পর তার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ৮ - এপিবিএন এর অধিনায়ক মোঃ আমির জাফর।
এদিকে, সোমবার (৬ মার্চ) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ, এপিবিএনসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
রবিবার (৫ মার্চ) বিকাল ৩টায় বালুখালীর ১১ নম্বর ক্যাম্প থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ পর্যন্ত হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে ২০২১ সালের ২২ মার্চ একই ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে ১১ জনের মৃত্যু, ৫ শতাধিক আহত হয়। পুড়ে যায় ৯ হাজারের বেশি ঘর।