"ইদ্রিস মিয়ার বক্তব্য ঘিরে সড়কে বিক্ষোভ এনাম অনুসারীদের"
নিজস্ব সংবাদদাতা
১২ জুন, ২০২৫, 9:14 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা
১২ জুন, ২০২৫, 9:14 PM

"ইদ্রিস মিয়ার বক্তব্য ঘিরে সড়কে বিক্ষোভ এনাম অনুসারীদের"
মোরশেদ আলম, পটিয়া:- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়ার একটি বক্তব্য ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে পটিয়া বিএনপির একাংশে। দলের অভ্যন্তরে ‘চাঁদাবাজ চক্র’, ‘আওয়ামী এজেন্ট’ ও ‘প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব’ নিয়ে দেওয়া তার বক্তব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির একটি অংশ।
বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয় পটিয়া উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে। পরে তা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এনামুল হক এনামের অনুসারীরা এই কর্মসূচির আয়োজন করে। মিছিলে স্লোগান ওঠে— “আওয়ামী লীগের ঠিকানা পটিয়ায় হবে না”, “দলবিরোধীদের রেহাই নেই”, ইত্যাদি।
বুধবার বিকেলে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির এক সভায় ইদ্রিস মিয়া বলেন, “দলের নাম ভাঙিয়ে বিএনপির পরিচয়ে একটি চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে কার্যালয় দখল করে রেখেছে। তারা দলীয় কার্যক্রমের নামে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত। এই গ্রুপটি আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের অনুরোধ করেছে উত্তেজনা এড়াতে যেন দলীয় কার্যালয়ে না যাই — আমরা তা মেনে নিয়েছি। কিন্তু এনামের অনুসারীরা লাঠিসোটা নিয়ে কার্যালয় দখল করে রেখেছে। প্রশাসন স্পষ্টভাবে পক্ষপাতিত্ব করছে।”
দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ইদ্রিস মিয়া বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দোসর কিংবা দলবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত কেউ বিএনপির সদস্য হতে পারবে না। দলের স্বার্থে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ইদ্রিস মিয়ার বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান জেলা কমিটির সদস্য এনামুল হক এনাম। তিনি বলেন, “একই জায়গায় একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করাতেই বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ইদ্রিস মিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছেন। এর দায় তাকেই নিতে হবে। তিনি যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন তা উইড্রো করতে হবে। মিছিল পূর্ববর্তী সদস্য সংগ্রহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব বলেন।
এদিকে ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে— বিএনপির ভিতরে দীর্ঘদিনের অন্তর্দ্বন্দ্ব নতুন রূপ নিচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ের বিরোধ এখন প্রকাশ্য সংঘাতে রূপ নিচ্ছে, যা আগামী দিনে দলের সাংগঠনিক স্থিতিশীলতায় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।