NL24 News
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 10:51 AM
৭ রাজ্যে ১৪ নারীকে বিয়ে
নিজস্ব প্রতিনিধি : গতকাল সোমবার ১৪ নারীকে বিয়ে ও তাঁদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির বয়স ৬০ থেকে ৬৯ বছরের মধ্যে।
বিয়ের পর স্ত্রীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যেতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ওডিশা রাজ্যের কেন্দ্রাপাড়া এলাকার পাটকুরা থানার একটি গ্রামে ওই ব্যক্তির বাড়ি।
ভারতের ৭ রাজ্যে ১৪ নারীকে বিয়ে করেন। ওই ব্যক্তি নিজেকে একজন চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিতেন। তাঁর ১৪ স্ত্রীর মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী, চিকিৎসক ও উচ্চশিক্ষিত নারী। তাঁদের মধ্যে আধা সামরিক বাহিনীতে কাজ করেন এমন নারীও রয়েছেন।
ভুবনেশ্বর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার উমাশঙ্কর দাশ বলেন, ১৯৮২ সালে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি প্রথমবার বিয়ে করেন। ২০০২ সালে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে তাঁর পাঁচ সন্তান রয়েছে। ২০০২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিয়ে–সংক্রান্ত বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তিনি নারীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। এরপর অন্য স্ত্রীদের অনুমতি ছাড়া ওই নারীদের বিয়ে করেন।
সর্বশেষ স্ত্রীর সঙ্গে ওই ব্যক্তি ওডিশার রাজধানীতে বসবাস করছিলেন। ওই স্ত্রী দিল্লির একজন স্কুলশিক্ষক। স্ত্রী কোনোভাবে ওই ব্যক্তির আগের বিয়ের খবর জেনে যান। এরপর তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।
ডেপুটি উপকমিশনার বলেন, ভাড়া করা যে বাড়িতে সর্বশেষ স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন, সেখান থেকেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মধ্যবয়সী, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে, এমন নারীদের বিয়ে করতেন। বৈবাহিক ওয়েবসাইট ঘুরে এমন নারীদের বেছে নিতেন। আরেকটি বিয়ে করার আগে আগের স্ত্রীর অর্থ আত্মসাৎ করতেন।
ওই ব্যক্তি যে সাত রাজ্যের নারীদের বিয়ে করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে দিল্লি, পাঞ্জাব, আসাম, ঝাড়খন্ড ও ওডিশা। তাঁর প্রথম দুই স্ত্রী ওডিশার।
ওই ব্যক্তির সর্বশেষ স্ত্রী ছিলেন স্কুলশিক্ষক। গত বছরের জুলাই মাসে তিনি নারী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। সর্বশেষ স্ত্রীর অভিযোগ, ২০১৮ সালে নিউ দিল্লিতে ওই ব্যক্তি তাঁকে বিয়ে করেন। পরে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করে।
ওই ব্যক্তির কাছ থেকে পুলিশ ১১টি এটিএম কার্ড, ৪টি আধার কার্ড জব্দ করেছে। পুলিশ বলছে, এর আগে বেকার যুবকদের সঙ্গে প্রতারণা, হায়দরাবাদ ও এরনাকুলামে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে দুবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।