ঢাকা ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা পটিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় দুই চুরি, এক আত্মহত্যা : চরম উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা

৫০ নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, প্রায় সবাই নাবালিকা

#

নিজস্ব সংবাদদাতা

১১ ডিসেম্বর, ২০২১,  9:54 PM

news image

বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হলেও তিনি কুখ্যাত তার অস্বাভাবিক যৌন চাহিদার কারণে। কম করে হলেও ৫০ জন নারী তার অস্বাভাবিক কামনার শিকার হয়েছেন। তিনি অর্থের জোরে নাবালিকাদের সুযোগ নিয়েছেন। কখনো ইচ্ছের বিরুদ্ধে, কখনোবা ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন তাদের সঙ্গে। সেই অত্যাচারের বিবরণও নানাভাবে সামনে এসেছে বহুবার। একজন যৌন অপরাধী হিসেবে কম করে ৪০ জন নারী যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন জেফ্রি এডওয়ার্ড এপস্টিন নামে এক আমেরিকান ধনকুবের বিরুদ্ধে। প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, তারা ধনকুবেরের লালসার শিকার হয়েছিলেন অল্প বয়সে। কেউই তখনো ১৮ বছর বয়স পার করেননি। পরে জেফ্রি তার কুকীর্তির জন্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলও হয়েছে তার। শেষে ২০১৯ সালে জেলের ভিতরেই আত্মঘাতী হন আমেরিকার এই ধনকুবের।

তবে মৃত্যুর দুই বছর পর জেফ্রির ব্যাপারে এমন একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে যা তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কিছুটা ব্যাখ্যা দিতে পারে। দিন কয়েক আগেই জেফ্রির বিরুদ্ধে হওয়া নাবালিকাদের যৌন হেনস্থার মামলায় তার প্রেমিকার হাত ছিল এমন অভিযোগ এনে নতুন একটি মামলা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি সেই মামলায় সাক্ষ্য দেন কেট নামে এক নারী।

কেট’ অবশ্য তার ছদ্মনাম। কেট জানিয়েছেন, একটা সময়ে জেফ্রির শিকার হয়েছিলেন তিনিও। তবে তার সঙ্গে যখন জেফ্রির আলাপ হয়েছিল, তখন কেট প্রাপ্তবয়স্ক। পড়াশোনা করছেন কলেজে।

জেফ্রির সঙ্গে কেটের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং জেফ্রির প্রেমিকা গিসলাইন ম্যাক্সওয়েল। বলেছিলেন, জেফ্রি প্রতিভাধরদের পড়াশোনার খরচ জুগিয়ে সাহায্য করেন। কেট তখন নিজেকে সঙ্গীতকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। সঙ্গীত নিয়ে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নও দেখছেন। জেফ্রির সঙ্গে আলাপ সুবর্ণ সুযোগ বলেই মনে হয়েছিল তার।

কেট জানিয়েছেন, জেফ্রির সঙ্গে তাকে দেখা করাতে একরকম জোরই করেছিলেন তার প্রেমিকা ম্যাক্সওয়েল। প্রথম সাক্ষাতেই তাকে দিয়ে ‘ফুট মাসাজ’ করিয়েছিলেন জেফ্রি। এমনকি ওইদিনই কেটকে দিয়ে নিজের শরীরের ঊর্ধ্বাঙ্গে ম্যাসাজ নেন জেফ্রি।

কেট অবাক হননি তা নয়। তবে একইসঙ্গে তিনি ভেবেছিলেন এই লোকটিকে খুশি রাখতে হবে তাকে। তাই সামান্য সেবার অনুরোধ ফেলেননি। কিন্তু পরে তার ভুল ভাঙে যখন একদিন তাকে শুধু জেফ্রির ম্যাসাজের জন্যই ডেকে পাঠান ম্যাক্সওয়েল। একা ঘরে জেফ্রির সঙ্গে তাকে ছেড়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন।

ঘরের ভিতর শুধু একটি তোয়ালের পোশাক পরে দাঁড়িয়েছিলেন জেফ্রি। কেট-এর সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টাও করেন। কিন্তু ভয় পেয়ে চিৎকার করে দরজা ধাক্কা দিতে শুরু করেন কেট। ম্যাক্সওয়েল এসে উদ্ধার করেন তাকে।

এরপরই একান্তে ডেকে জেফ্রির ‘সমস্যা’র কথা কেটকে জানিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। আদালতকে নিজের বয়ানে কেট বলেছেন, ‘ম্যাক্সওয়েল আমাকে সেদিন বলেছিলেন, জেফ্রির যৌনাকাঙ্ক্ষা অত্যন্ত বেশি। দিনে অন্তত তিনবার শারীরিক সম্পর্ক করতেই হয় তাকে। সেই চাহিদা একা সামাল দিতে পারেন না জেফ্রির প্রেমিকা।’ কেটদের শরণাপন্ন হওয়া সেই অসহায়তা থেকেই।

যদিও তথ্য বলছে, ম্যাক্সওয়েল শুধু জেফ্রির চাহিদার জোগান দিতেন তা-ই নয়, ইংল্যন্ডের রাজপুত্র অ্যান্ড্রু, যার নামও একবার যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিল, তার সঙ্গেও দহরম মহরম ছিল ম্যাক্সওয়েলের। এমনকি বিষয়টি গল্পোচ্ছলে একবার কেটকে বলেও ফেলেছিলেন জেফ্রির প্রেমিকা। জেফ্রির অত্যধিক কামনেচ্ছার কথাও এভাবেই মুখ ফসকে বলে ফেলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল।

তথ্যসূত্র: সিএনএন ন্যাশনাল

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী