ঢাকা ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা পটিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় দুই চুরি, এক আত্মহত্যা : চরম উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা

স্ত্রীর ভরণ-পোষণে সামাজিক বাস্তবতা ও দেওয়ানী প্রতিকার

#

০১ জুন, ২০২৩,  7:40 PM

news image

বিবাহের পর স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ প্রদান করা স্বামীর জন্য বাধ্যতামূলক,স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ প্রদান করা স্বামীর কর্তব্য এবং স্বামীর কাছ থেকে ভরণ-পোষণ লাভ করা স্ত্রীর আইনত অধিকার। ভরণ-পোষণ বলতে বোঝায় একজন ছেলে-মেয়ের ,স্ত্রী ও পিতা - মাতার খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান ও অন্যান্য চাহিদা। বিবাহ হওয়ার সাথে সাথেই একজন নারীর তার স্বামীর নিকট থেকে ভরণ-পোষণ লাভ করার অধিকার জন্মায়। আর্থিক বিবেচনায় এর চাহিদা কত হবে তা কোন আইনে নির্ধারিত নেই। স্বামীর রোজগার, সামাজিক অবস্থান ও আরো বিষয় বিবেচনা করে ভরণ-পোষণ নির্ধারণ করতে হয়। স্বামী আর্থিক ভাবে অস্বচ্ছল হলেও স্ত্রীর ভরণ-পোষণের অধিকার নষ্ট হবেনা। মূল কথা হলো  স্ত্রীর দৈনন্দিন জীবনের  চাহিদা মেটানো স্বামীর দায়িত্ব এবং এ দায়িত্ব পালন করা স্বামীর জন্য আবশ্যক। আমাদের দেশে অনেক সময় দেখা যায় যে পুরুষেরা এ ভরণ-পোষণ  বিষয়টিকে অবহেলা করে বা অস্বিকার করে । এমন অবস্থায় স্ত্রী বিভিন্ন ভাবে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। ১৯৮৫ সালের পারিবারিক আদালতের অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্ত্রী দেওয়ানী প্রতিকার পেতে সরাসরি পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারেন। এছাড়াও ১৯৬১ সালের পারিবারিক আদালতের ৯ ধারা অনুযায়ী স্বামী যদি স্ত্রীর ভরণ-পোষণ দিতে ব্যর্থ হলে স্ত্রী স্থানীয় চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করবেন। চেয়ারম্যান সালিশি বোর্ড গঠন করে স্ত্রীর ভরণ-পোষণের পরিমান নির্ধারণ করবেন এবং একটি সার্টিফিকেট ইস্যু করবেন। উল্লেখ্য, স্বামী ও স্ত্রী নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে সার্টিফিকেটটি পুনঃবিবেচনার উদ্দেশ্যে সহকারী জজের কাছে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সহকারী জজের সিদ্ধান্তই চূডান্ত হবে। এছড়া দি ডিসলিউশন অব মুসলিম ম্যারেজ এক্ট এর ২ ধারা অনুযায়ী স্বামী দুই বছর পর্যন্ত স্ত্রীর ভরণ-পোষণ প্রদানে অবহেলা করলে কিংবা ব্যর্থ হলে স্ত্রী আদালতে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা করতে পারেন। বিয়ের পর স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ না দেওয়া অবশ্যই অনেক বড় অপরাধ। এর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানী উভয় মামলা করা যায়। আর সমাজকে এ বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া একটি সামাজিক কর্তব্য।


লিখেছেন-

কামরুল ইসলাম শাহিন ও হাবিবুর রহমান।

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি,৫১তম ব্যাচ।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী