NL24 News
১৪ মার্চ, ২০২৪, 3:52 PM
সোমালিয়া উপকূলে নোঙর করেছে জিম্মি জাহাজ
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়া উপকূলে নোঙর করেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি নাবিকদের উদ্ধারে করণীয় নিয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এ কথা জানানো হয়।
নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, যারা জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে আমরা এক্সপেক্ট (আশা) করছি যে তারা কোনো না কোনো সময় আমাদের কনসার্ন যে অথরিটি অথবা জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তারপর আমরা স্ট্র্যাটেজি সেট করব যে কীভাবে তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন বা অন্যান্য কিছুতে যাব। আপাতত আমরা চিন্তা করছি জাহাজের যারা ক্রু আছে তারা যেন সেফ থাকে।
এর আগে, জাহাজটির বর্তমান অবস্থান প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেছিলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিকসহ জাহাজটির অবস্থান বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় শনাক্ত করা গেছে। জাহাজটি ওই সময় সোমালিয়া থেকে ৭২ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। আজ দুপুরের মধ্যে জাহাজটি সোমালিয়ায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। হয়তো এরপর জলদস্যুরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে যোগাযোগ করবে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।
জাহাজটি জিম্মি করার দুদিন পেরোতে চললেও মুক্তিপণের জন্য দস্যুদের তরফ থেকে কোনো যোগাযোগ হয়নি বলে জানিয়েছেন কেএসআরএমের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জলদস্যুরা নাবিকদের কোনো ক্ষতি করেনি। তাদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় আমরা সেই চেষ্টা করছি। জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
জলদস্যুদের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা না হলেও ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলারেরর মুক্তপণ দাবির একটি তথ্য গণমাধ্যমে ছড়িয়েছে। তবে সেই তথ্যকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মিজানুল ইসলাম।