মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের স্বপ্নভঙ্গে সরকারের কোনো দায় নেই!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০২ জুন, ২০২৪, 1:44 PM

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০২ জুন, ২০২৪, 1:44 PM

মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের স্বপ্নভঙ্গে সরকারের কোনো দায় নেই!
সাত গুণ বেশি টাকা দিয়েও কার দোষে মালয়েশিয়া যেতে পারলেন না ৩০ হাজার কর্মী? এমন প্রশ্নে একে অপরের ওপর দায় চাপাতে ব্যস্ত সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো। মন্ত্রণালয় ও রিক্রুটিং এজেন্সি সংগঠন বায়রার গাফিলতিকে দুষছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। তবে এত কর্মীর স্বপ্নভঙ্গে সরকারের কোনো দায়ে দেখছেন না প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী।
প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের জুনে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলতেই বিশাল স্বপ্ন নিয়ে দেশটিতে যেতে শুরু করেন বাংলাদেশি কর্মীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে ৫ লাখ ২৭ হাজার কর্মী পাঠাতে বৈধ সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে যুক্ত করার দাবি ওঠে তখন।
তবে প্রায় দুই হাজার এজেন্সির মধ্যে মাত্র ১০১টি এজেন্সির সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আর বেঁধে দেয়া ৭৯ হাজার টাকার পরিবর্তে প্রতি কর্মীর কাছ থেকে অন্তত সাত গুণ টাকা নিয়েও ৩০ হাজার কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠাতে ব্যর্থ এজেন্সিগুলো।
এদিকে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশ থেকে কর্মী নেয়ার সময়সীমা আগে থেকেই চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত বেঁধে দিলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও রিক্রুটিং এজেন্সির টনক নড়েনি। শেষ সময়ে স্বাভাবিকের চেয়ে চার গুণ বাড়তি টাকায় কিনতে হয় বিমানের টিকিট।
আগস্ট পর্যন্ত মেয়াদ দিয়ে মাত্র ৮ থেকে ৯ দিন আগে ভিসা ইস্যু করে ৩১ মে-র মধ্যে মালয়েশিয়া যাওয়ার অযৌক্তিক নির্দেশনা বিষয়ে সৃষ্ট সংকট সমাধানে মন্ত্রণালয়, বায়রাসহ সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি দেখছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। এসব কর্মীর টাকা ফেরত দেয়ার পরামর্শ তাদের।
ইস্টার্ন বে বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ সংকট সমাধানে সরকার নেগোসিয়েশন করতে পারত। বায়রা সহযোগিতা করতে পারত। এখন উচিত যেসব কর্মী যেতে পারেনি, তাদের টাকা ফেরত দিয়ে দেয়া।
মালয়েশিয়া সরকার আবার সুযোগ দিলে, এসব শ্রমিককে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। মূলত টিকিট সংকটে অনেক শ্রমিকরা যেতে পারেনি। ভাড়া বেড়ে যাওয়ার জন্য নয়।
আর এত কর্মীর স্বপ্ন চুরমার হলেও সরকারের কোনো গাফিলতি নেই বলে দাবি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর। তিনি জানান,
বন্ধ হবে না মালয়েশিয়ার বাজার, কর্মী পাঠাতে চুক্তি হবে আবারও। যারা এবার আটকা পড়েছে, পরবর্তী সময়ে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এ ছাড়া মালয়েশিয়া বন্ধ হলেও শ্রমবাজার সম্প্রসারণে নতুন নতুন বাজার খোঁজার কথাও বলেন প্রতিমন্ত্রী।