আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৯ অক্টোবর, ২০২৪, 5:30 PM
মার্কিন নির্বাচন পদ্ধতির যত জটিল হিসাব-নিকাশ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততই ইলেক্টোরাল ভোটের গুরুত্ব বাড়ছে। কারণ চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারিত হয় মোট ভোটের সংখ্যা দিয়ে নয়, বরং ইলেক্টোরাল ভোট দিয়ে। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস তাই সুইং স্টেটগুলোতে ইলেক্টোরাল ভোট নিশ্চিত করার জন্যই বেশি জোর দিচ্ছেন।
২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিংটনের চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ ভোট কম পেয়েও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগেও জর্জ ডব্লিউ বুশসহ আরও চারজন প্রেসিডেন্ট প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে কম ভোট পেয়েও নির্বাচিত হয়েছেন। এর কারণ যুক্তরাষ্ট্রের জটিল নির্বাচনী পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হয় ইলেক্টোরাল কলেজের মাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি অঙ্গরাজ্যে মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে। বেশি জনবহুল রাজ্যগুলোতে, যেমন ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা ও নিউইয়র্ক, সবচেয়ে বেশি ইলেক্টোরাল ভোট বরাদ্দ। কোনো রাজ্যে যে প্রার্থী বেশি ভোট পান, সেই প্রার্থী সেই রাজ্যের সবগুলো ইলেক্টোরাল ভোট লাভ করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজন অন্তত ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট। ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রাজ্যগুলোতে দুই দলের প্রায় দেড়শ ইলেক্টোরাল ভোট নিশ্চিত থাকে। লড়াই মূলত বাকি ১২০-১৩০টি ইলেক্টোরাল ভোটের জন্য। ফ্লোরিডা, পেনসিলভানিয়া, ওহাইওর মতো রাজ্যগুলোতে সামান্য ব্যবধানেই প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারিত হয়।
এই বছরও সুইং স্টেটসগুলোতে প্রবল প্রতিযোগিতা চলছে। তাই প্রার্থীরা তাদের প্রচারণায় এই রাজ্যগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।