ঢাকা ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা পটিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় দুই চুরি, এক আত্মহত্যা : চরম উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা

ভিক্ষার ৬৪ লাখ টাকা দান করলেন বৃদ্ধ

#

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,  7:11 PM

news image

তামিল নাড়ুর থুথুকুডি জেলার এক ভিক্ষুক মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৬৪ লাখ টাকা দান করে নজির গড়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ জানিয়েছে, নিজেই ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনযাপন করতেন। সেই তিনি তিলে তিলে জমানো টাকা করেছেন দান। টাকার পরিমাণ শুনলেও যেকারও চোখ কপালে উঠতে পারে। 

পুলপান্দিয়ান নামে ওই বৃদ্ধ ২০২০ সালের মে মাসে থুথুকুডি জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম তহবিলে ১০ হাজার রুপি দান করেন। এরপর বিভিন্ন জেলায় আটবার ১০ হাজার রুপি করে দান করেছেন ।

৭২ বছর বয়সী পুলপান্দিয়ান সিএনএন নিউজ১৮-কে বলেন, তিনি একা মানুষ এবং ভিক্ষা করে যা টাকা জমিয়েছেন তা আর দরকার নেই।

তিনি আরও বলেছেন, যেহেতু আমার কোনও পরিবার নেই, আমি রাজ্যের প্রতিটি জেলায় গেছি এবং ভিক্ষাবৃত্তি করে টাকা জমাই। এরপর এসব জায়গা থেকে চলে আসার আগে জেলা কালেক্টরেটের কাছে যাই এবং দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য অর্থ প্রদান করি। গত পাঁচ বছরে আমি ৫০ লাখের বেশি রুপি দান করেছি। 


খবরে বলা হয়েছে, পুলপান্দিয়ান এক সময় বড় পরিবার ছিল। ঘরে ছিল দুই সন্তান ও স্ত্রী। ১৯৮০ সালের দিকে তিনি পরিবারসহ মুম্বাই আসেন এবং কোনমতে চাকরি করে পরিবারের হাল টানতেন। কিন্তু অভাব ও খারাপ জীবনযাত্রার কারণে তার স্ত্রী সরস্বতী প্রায় ২৪ বছর আগে মারা যান। এরপর তিনি একাই তার দুই সন্তানকে বড় করেন এবং বিয়ে দেন। পরবর্তীতে তিনি তামিল নাড়ুতে ফিরে যান।


কিন্তু তার দুই সন্তান পুলপান্দিয়ানের ভরণপোষণ করতে রাজি ছিলেন না এবং বাধ্য হয়েই ভিক্ষা শুরু করেন তিনি। এরপর একার জন্য যা লাগলো তা খরচ করে বাকি ভিক্ষার টাকা জমিয়ে রাখতেন। ২০২০ সালে সমাজসেবার জন্য তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষ থেকে সম্মানিত করা হয় এই বৃদ্ধকে।





logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী