NL24 News
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 12:48 PM
ভারতীদের অবশ্যই মুসলিম নারীদের কোণঠাসার নীতি বন্ধ করতে হবে: মালালা
অনলাইন ডেস্ক : ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কর্নাটক রাজ্যে ছাত্রীদের হিজাব পরিধান নিয়ে বিতর্ক দিন দিন বাড়ছে। মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেয়ার দাবিতে চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন পাকিস্তানের নোবেলজয়ী শিক্ষা ও নারী অধিকার কর্মী মালালা ইউসুফজাই।
মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় হিজাব আন্দোলনের সাথে সংহতি জানান তিনি। টুইট বার্তায় মালালা বলেন, ‘হিজাবসহ মেয়েদের স্কুলে যেতে বাধা দেয়া ভয়াবহ। নারী বেশি পোশাক পরবে বা কম পরবে, তা নিয়ে এখনো বিচার করা হচ্ছে। ভারতীয় নেতাদের অবশ্যই মুসলিম নারীদের কোণঠাসার নীতি বন্ধ করতে হবে।’
হিজাব পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশে অনুমতি বাতিলের জেরে ভারতের কর্নাটকে মুসলিম শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে। অপরদিকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর উসকানিতে এক দল হিন্দু শিক্ষার্থী গেরুয়া শাল পরে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেয়ার দাবি করছে।
এই নিয়ে তীব্র উত্তেজনার জেরে কর্ণাটকের সব স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসাভরাজ এস বোম্মাই তিন দিনের জন্য সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
এর আগে চলতি বছর জানুয়ারিতে প্রথম কর্নাটকের উদুপি জেলার সরকারি পিউ গার্লস কলেজে প্রথম হিজাব পরে ছয় মুসলিম ছাত্রীকে ক্লাস করতে বাধা দেয়া হয়। ওই সময় কলেজ প্রশাসন জানিয়েছিলো, নির্ধারিত ইউনিফর্মের বাইরে হিজাব পরে কলেজের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন ওই শিক্ষার্থীরা।
পরে ২ ফেব্রুয়ারি নতুন করে কুনদাপুর সরকারি জুনিয়র কলেজে মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরে ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেয়ার মাধ্যমে কর্নাটকের দ্বিতীয় এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার কারণে বাধার ঘটনা ঘটে।
পরে আরো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে মুসলিম ছাত্রীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কর্নাটকজুড়ে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরে ক্লাস করার দাবিতে তীব্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করবে ছাত্র-ছাত্রীরা কেমন পোশাক পরবে।