আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৩ নভেম্বর, ২০২৪, 12:39 PM
বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ নয়: কলকাতা হাইকোর্ট
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের পর সম্পর্ক ছিন্ন হলে অনেক ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগী নারী ধর্ষণের মামলা করে থাকেন। বাংলাদেশ ও ভারতে এমন আইন রয়েছে। যেখানে ‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ’ উল্লেখ করে অভিযোগ আনা হয়। তবে কলকাতা হাইকোর্ট একটি মামলায় এমন অভিযোগের বিষয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে একটি মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো পুরুষকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত করা যাবে না। যদি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকে। এ রায়ে তিনি নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় খারিজ করে দেন।
বিচারপতি অনন্যা বলেন, মামলার নারীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তিনি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় ও সম্মতিতেই ওই পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছেন। কিন্তু সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। তিনি আরও বলেন, “বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা একটি ধারণা মাত্র। যা কোনো প্রাপ্তবয়স্ক নারী এভাবে কাউকে অভিযুক্ত করতে ব্যবহার করতে পারেন না।”
মামলার নিম্ন আদালতে অভিযুক্তকে ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) এর ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। পাশাপাশি তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে, অভিযুক্ত এই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্টের এই রায়ে উল্লেখ করা হয়, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী যদি স্বেচ্ছায় সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। তবে পর্যাপ্ত প্রমাণ ছাড়া পরবর্তীতে প্রতারণার অভিযোগ দাঁড় করানো যায় না।