ঢাকা ২৫ মে, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ড. ইউনূসকে যারা নামাতে চায় তারা দেশ, জনগণ ও মানবতার শত্রু: ফয়জুল করীম রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে রোববার ড. ইউনূসের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক একদিনে প্রায় ৮০০ যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিলো রাশিয়া-ইউক্রেন একদিনে প্রায় ৮০০ যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিলো রাশিয়া-ইউক্রেন একদিনে প্রায় ৮০০ যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিলো রাশিয়া-ইউক্রেন পটিয়ায় দক্ষিণ ভূর্ষি রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম ঘিরে ফের উত্তেজনা, সংঘাতের আশঙ্কা আর্মিকে রাজনৈতিক সালিশের ক্ষমতা দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে: হাসনাত উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে: মির্জা ফখরুল ‘দলনিরপেক্ষ নির্বাচনী সরকার গঠন করা জরুরি’ সভাপতির অপসারণ দাবি: শিক্ষককে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে কিডনি বিক্রি, বিপাকে অটোচালক

#

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৯ জুলাই, ২০২৪,  6:34 PM

news image
ছবি: সংগৃহীত

চালক বাবা সন্তানের ভবিষ্যত নিশ্চিতের জন্য ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে নিজের কিডনি বিক্রি করলেন ঋণে জর্জরিত অটোরিকশা  চালক। এর বিনিময়ে ৩০ লাখ রুপি দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতারকরা তা দেয়নি। ফলে আরও বিপাকে পড়েছেন সেই বাবা। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ঘটেছে এই ঘটনা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩১ বছর বয়সী ওই অটোচালকের নাম মধুবাবু গারলাপতি। ফেসবুকে কিডনি বিক্রির লোভনীয় এক বিজ্ঞাপন দেখেছিলেন তিনি। সেখান যোগাযোগ করতে গিয়েই অবৈধ অঙ্গ পাচারকারী এক চক্রের খপ্পড়ে পড়েন তিনি। বিভিন্ন প্রলোভনে তাকে কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করে ওই চক্রের সদস্যরা।

অনলাইন লোন অ্যাপগুলো থেকে ঋণ নিয়ে তখন বিপাকে ছিল মধুবাবু। তাই এই প্রস্তাব তার কাছে আশার আলো হয়ে এসেছিল। ৩০ লাখ রুপি পাওয়ার আশায় নিজের কিডনি দিয়ে দিতে রাজি হন তিনি।

মধুবাবু পরিচয় হয় বাসা নামের কে এজেন্টের সঙ্গে এক নারীও ছিল সেই চক্রে। তিনি জানান, যে তিনি নিজেও কিডনি বিক্রি করেছেন এবং সময়মতো টাকা পেয়েছেন।

এরপর বিজযা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয় এবং কিডনি নেওয়া হয়। সেসময় তার পরিবারও ছিল। সবাইকে যাওয়া আসার খরচও দেওয়া হয় এবং আশ্বস্ত করা হয় যে বাকি টাকা অপারেশনের পর দেওয়া হবে।

কিন্তু সবমিলে ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন মধুবাবু। তিনি বলেন, `আমার অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে তারা। তারা আমাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছে যে আমি একজন বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করছি। তিনিও আমাকে সাহায্য করবেন।

মধুবাবু বলেন, ‘আমি রাজি হয়েছি কারণ আমার মনে হয়েছে এতে করে আমি ঋণশোধ করতে পারবো এবং আমার সন্তানদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারবো।’

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী