প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ঘনিষ্ঠ সন্দেহভাজন চীনা গুপ্তচরের পরিচয় প্রকাশের দাবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, 10:49 AM

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, 10:49 AM

প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ঘনিষ্ঠ সন্দেহভাজন চীনা গুপ্তচরের পরিচয় প্রকাশের দাবি
চীনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ব্রিটেন তাড়াহুড়ো করছে বলে মনে করছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। তাদের মধ্যে অনেকে আবার রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বন্ধুত্বের সুযোগে দেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চাওয়া চীনা গুপ্তচরের পরিচয় প্রকাশ করার দাবি তুলেছেন। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
লেবার পার্টির শ্যাডো হোম সেক্রেটারি ক্রিস ফিলিপ বলেন, ওই চীনা গুপ্তচরের পরিচয় প্রকাশ হওয়া উচিত। আমি আশা করি আদালত তাদের গোপনীয়তার আদেশ পরিবর্তন বা বাতিল করবে। ওই ব্যক্তি যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তাদের ব্যাপারেও জানা দরকার।
ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা নাইজেল ফারাজ আশা করছেন, রিফর্ম ইউকে এমপিরা পার্লামেন্টারি সুবিধা ব্যবহার করে হাউজ অব কমন্সে ওই ব্যবসায়ীর নাম প্রকাশ করার চেষ্টা করবেন।
গুপ্তচর হিসেবে চিহ্নিত ওই চীনা ব্যবসায়ী ডিউক অব ইয়র্ক প্রিন্স অ্যান্ড্রু সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। তার পরিচয় গোপন রাখতে আদালতের আদেশ রয়েছে। তবে এটি দ্রুতই বাতিল হতে পারে। এ অবস্থায় সরকারের চীনের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টায় আরও সতর্ক হওয়া উচিত বলে লেবার পার্টির আইনপ্রণেতারা মন্তব্য করেছেন।
সম্প্রতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে যুক্তরাজ্য সরকার। দেশটির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের এই সংবেদনশীল মুহূর্তেই বিষয়গুলো সামনে এলো।
এদিকে, দেশটির মন্ত্রীরা চলতি সপ্তাহে বিদেশি প্রভাব নিবন্ধন স্কিম (এফআইআরএস) পুনরায় চালু করার নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণের জন্য চাপের মুখে থাকবেন। এফআইআরএস আগামী বছর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, চীনকে বৃহত্তর সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে তালিকাভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এফআইআরএসের শর্ত অনুযায়ী, বিদেশি কোনও কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা যদি ব্রিটেনে রাজনৈতিক প্রভাব কার্যক্রম চালায়, তাহলে তাদের নিবন্ধন থাকা বাধ্যতামূলক। রাশিয়া ও ইরানের মতো কিছু দেশকে এ শর্তের আওতায় রাখা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দ্য গার্ডিয়ানকে সাবেক নিরাপত্তামন্ত্রী টম টুগেনঢাট বলেছেন, অভিযুক্ত চীনা নাগরিকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সংস্থার কার্যক্রম মোকাবিলার জন্য স্কিমটির কিছু শর্ত আনা হয়েছিল। তবে চীনকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না, তা নিয়ে এখনও মতপার্থক্য রয়েছে।
কনজারভেটিভ পার্টির দাবি, স্কিমটি আগের সরকারের আমলে কার্যকর করার জন্য প্রস্তুত ছিল। তবে লেবার নিরাপত্তামন্ত্রী ড্যান জারভিস অক্টোবরে একটি চিঠিতে জানিয়েছেন, আগের সরকারের সময় স্কিমটি চালু করার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, কনজারভেটিভরা স্কিমটিকে কার্যকর অবস্থায় রেখে যায়নি। তবে এটি কার্যকর করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
এফআইআরএস নিয়ে সোমবার হাউস অব কমন্সের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বা অন্তত একটি সরকারি বিবৃতি প্রকাশের আশা করছেন সাবেক কনজারভেটিভ নেতা ইয়ান ডানকান স্মিথ ।