ঢাকা ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
Shahriar Kabir arrested in Dhaka, conspicuous charges ক্ষমতার দখল নিয়ে জামায়াত ও বিএনপির লড়াই তুঙ্গে ইউনুস মাঝির মৃত্যুতে শিল্প এলাকা ক্রীড়া পরিষদের শোক চট্টগ্রামে অস্ত্রের খুঁজে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ঘরে তল্লাশি, মারধর পটিয়ায় কেলিশহর আর্বাণ কো অপারেটিভের নির্বাচনে সভাপতি আশীষ দে, সম্পাদক রূপন কুমার দে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু চিকিৎসাধীন দুই নারীর মৃত্যু প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাতারবাড়ীর ব্যবসায়ী সেলিম উল্লাহ সেলিম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের গাজীপুরের সাংবাদিকবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আওলিয়াকেরামের মাজার শরীফে হামলার প্রতিবাদে বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন এর বিক্ষোভ মানববন্ধন

নোয়াখালীর ৮ উপজেলা প্লাবিত, পানিবন্দি ২২ লাখ মানুষ

#

নিজস্ব সংবাদদাতা

২২ আগস্ট, ২০২৪,  11:32 AM

news image
ছবি: সংগৃহীত

টানা বৃষ্টি এবং মুহুরী ও ফেনী নদীর পানিতে নোয়াখালীর ৮ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ২২ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ৩৪৫ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে ২০ হাজার মানুষ। গুচ্ছগ্রামসহ পুরো কোম্পানীগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে স্লুইচ গেট দিয়ে পানি নামছে। তবে বৃষ্টির সাথে কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরও খারাপ অবস্থা হতে পারে এলাকাবাসীর।  

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলার তথ্যে জানা যায়, বেশির ভাগ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন এসব উপজেলার বাসিন্দারা। বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে কৃষি জমি। ভেসে গেছে মাছের ঘের। ডুবে গেছে সড়ক, বাসাবাড়িতেও ঢুকছে পানি। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় দীর্ঘ সময়ের ব্যাপক জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে নোয়াখালীবাসীর।

আবহাওয়া অফিস বলছে, মঙ্গলবার  সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাইজদী কোর্ট,  নোয়াখালী অফিস কর্তৃক রেকর্ডকৃত মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৪৪ মিলিমিটার। রাতভর বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে।

সেনবাগ উপজেলার কাউসার আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের বাড়ি এলাকার উঁচু স্থানে। কোনো বন্যা আমাদের বাড়িতে পানি উঠে নাই। কিন্তু এবার মনে হয় উঠবে। রান্নাঘরসহ অন্য সব ডুবে গেছে। আল্লাহর কাছে বৃষ্টি না দেয়ার জন্য দোয়া করি। আল্লাহ যদি সহায় হয়। তাহলে আমাদের রক্ষা হবে। না হয় আমরা শেষ। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হাসান খান বলেন, বিচ্ছিন্ন হাতিয়া উপজেলা ব্যতীত জেলার আট উপজেলার ৮৭ ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ২২ লাখ মানুষ। ৩৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। সময় বাড়ার সাথে সাথে আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ বাড়ছে। ইতোমধ্যে ৮৮ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ত্রাণের জন্য বরাদ্দ ১৫ লাখ টাকার মধ্যে ১৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ও ৮০০ মেট্রিক টন চালের মধ্যে ১৭৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আমরা আগে পড়েনি। প্রচুর বৃষ্টিতে প্রথমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এখন আবার মুহুরী নদী, ফেনী নদী থেকে পানি আসছে। আমরা সব স্কুল, কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন।

logo

সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

নির্বাহী সম্পাদক : শাহ এম রহমান বেলাল