নিজস্ব সংবাদদাতা
১৭ আগস্ট, ২০২৪, 9:51 AM
দুই বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় বাড়ছে লোডশেডিং
দেশের বড় দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ থাকায় দেশে আবারও বাড়তে শুরু করেছে লোডশেডিং। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ব্যবস্থাও নেই এই মুহূর্তে। কারণ সামিটের এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ থাকায় গ্রিডে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কম সরবরাহ করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লেও তা সরবরাহ করতে পারছে না বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।
এমন অবস্থায় শহরের পরিস্থিতি মোটামুটি সামাল দেওয়া গেলেও শহরের বাইরে গ্রামাঞ্চলে আবারও ব্যাপক হারে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। বিপিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, কয়লাচালিত মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে। কারিগরি ত্রুটির কারণে গত ১০ আগস্ট থেকে বন্ধ রয়েছে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। আবার ভারতের আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে গড়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিলো।
কিন্তু গত বুধবার আদানির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগের দিন মঙ্গলবার কারিগরি ত্রুটির কারণে একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বর্তমানে দিনে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের উত্পাদনে ফিরতে আরও এক মাস লাগতে পারে। গত দুই-তিন দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়ও লোডশেডিং শুরু হয়েছে।
আর রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে গড়ে দিনে চার থেকে ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে দুপুর ও সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ থাকছে না। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই লোডশেডিং মেনে নিতে পারছেন না গ্রাহকরা।