খাল খনন উদ্বোধনে লাল গালিচা, ব্যাখ্যা দিলো ডিএনসিসি
নিজস্ব সংবাদদাতা
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 4:44 PM
নিজস্ব সংবাদদাতা
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 4:44 PM
খাল খনন উদ্বোধনে লাল গালিচা, ব্যাখ্যা দিলো ডিএনসিসি
লাল গালিচায় খালে নেমে রাজধানীর মিরপুর–১৩ এর বাউনিয়া খালে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৬টি খাল সংস্কারের খননকাজ উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। এ নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তারা খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে উপদেষ্টারা লাল গালিচায় হেঁটে খালে নামেন এবং ভাসমান এস্কেভেটরে উঠে কাজের সূচনা করেন।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিত এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, রোববার সকালে মিরপুরে বাউনিয়া খালের প্রান্তে খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে ডিএনসিসি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপদেষ্টাবৃন্দ ও অতিথিবৃন্দ বক্তব্য প্রদান শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্কার কাজ উদ্বোধনের জন্য ভাসমান এক্সকাভেটরে উঠেন, যেখানে অপারেটর কার্যক্রম শুরু করেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ভাসমান এক্সকাভেটরে যেতে লাল কার্পেট বিছানোর কারণ জানতে চাওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে জানায় যে, যেখানে ভাসমান এক্সকাভেটর রাখা হয়েছে তা কোনো স্থায়ী পন্টুনে স্থাপিত নয়, বরং একটি অস্থায়ী স্থানে রাখা হয়েছে। এছাড়া এক্সকাভেটরে উঠার রাস্তাটি অনেক ঢালু ও কাদা মাটির হওয়ায় এবং এক্সকাভেটরের ফ্লোর পিচ্ছিল থাকায় অতিথিদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য এবং চলাচল এলাকা দৃষ্টিগ্রাহ্য করতে একটি লাল রঙের কার্পেট সদৃশ ম্যাট ব্যবহার করা হয়েছে।
ডিএনসিসি সতর্কতার সঙ্গে গণমাধ্যমের খবরগুলো লক্ষ্য করেছে উল্লেখ করে বলা হয়, এটি কোনো আনুষ্ঠানিক লাল গালিচা নয়, বরং শুধুমাত্র নিরাপত্তার স্বার্থে রাখা একটি ব্যবস্থা। এখানে কোনো ধরনের অপব্যয় বা অতিরিক্ত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নেই। যেহেতু ভাসমান এক্সকাভেটরে ওঠানামার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ, তাই ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সবসময় স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও জনস্বার্থের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।