নিজস্ব সংবাদদাতা
১১ নভেম্বর, ২০২৪, 12:03 PM
ক্ষমতা ছাড়ার আগে প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালানোর আগে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্কের তিক্ততার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ ও শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে এই দূরত্বের সূচনা হয়। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতবিরোধের কারণে বঙ্গভবন ও গণভবনের মধ্যে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়।
মানবজমিন পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ ‘জনতার চোখ’-এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রথা অনুযায়ী, বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে চীন ও ভারত সফরের পর এই নিয়ম ভঙ্গ করেন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে দুই নেতার মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তার একটি ইঙ্গিত মেলে। এরই মধ্যে বিচারক নিয়োগ প্রশ্নটি সামনে আসে। যা দুই নেতার সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা যোগ করে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় প্রেসিডেন্টের পরামর্শ নেওয়ার নিয়ম চালু রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বঙ্গভবনে সরাসরি একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। চাপ দেওয়া হয় দ্রুত স্বাক্ষরের জন্য। এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট অসন্তোষ প্রকাশ করে পাল্টা চিঠি পাঠান।
ওই চিঠিতে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাকে না জানিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। যা আমার সাংবিধানিক দায়িত্বের প্রতি অবমাননা।’ তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতি তাঁকে ‘একটি পুতুল’ হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা বলে মনে হয়েছে।
শ্রম আইন সংশোধনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা না করে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হলে তিনি আরও মনঃক্ষুণ্ন হন। এই মতবিরোধ ক্রমেই ঘনীভূত হয়। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী দেশ ত্যাগ করার সময় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনেও কোনো যোগাযোগ করেননি বলে সূত্র জানায়।