ঢাকা ২১ নভেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা যুক্তরাষ্ট্রে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে মামলা, নেপথ্যে কী ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য ভাতা দেবে যুক্তরাজ্য গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আমেরিকায় গ্রেপ্তার ফ্যাসিবাদী বয়ান দেওয়া গণমাধ্যম চিহ্নিত করা হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও ৫ দিনের রিমান্ডে আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের আনাস অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কোন পথে হাঁটছে যুক্তরাজ্য

ক্ষমতা ছাড়ার আগে প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

#

নিজস্ব সংবাদদাতা

১১ নভেম্বর, ২০২৪,  12:03 PM

news image
ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালানোর আগে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্কের তিক্ততার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ ও শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে এই দূরত্বের সূচনা হয়। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতবিরোধের কারণে বঙ্গভবন ও গণভবনের মধ্যে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়।

মানবজমিন পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ ‘জনতার চোখ’-এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রথা অনুযায়ী, বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে চীন ও ভারত সফরের পর এই নিয়ম ভঙ্গ করেন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে দুই নেতার মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তার একটি ইঙ্গিত মেলে। এরই মধ্যে বিচারক নিয়োগ প্রশ্নটি সামনে আসে। যা দুই নেতার সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা যোগ করে। 

১৮ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় প্রেসিডেন্টের পরামর্শ নেওয়ার নিয়ম চালু রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বঙ্গভবনে সরাসরি একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। চাপ দেওয়া হয় দ্রুত স্বাক্ষরের জন্য। এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট অসন্তোষ প্রকাশ করে পাল্টা চিঠি পাঠান। 

ওই চিঠিতে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাকে না জানিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। যা আমার সাংবিধানিক দায়িত্বের প্রতি অবমাননা।’ তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতি তাঁকে ‘একটি পুতুল’ হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা বলে মনে হয়েছে। 

শ্রম আইন সংশোধনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা না করে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হলে তিনি আরও মনঃক্ষুণ্ন হন। এই মতবিরোধ ক্রমেই ঘনীভূত হয়। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী দেশ ত্যাগ করার সময় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনেও কোনো যোগাযোগ করেননি বলে সূত্র জানায়।

logo

সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

নির্বাহী সম্পাদক : শাহ এম রহমান বেলাল