ক্যান্সারে আক্রান্ত ক্রিস কেয়ার্নস
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 2:58 PM
NL24 News
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 2:58 PM
ক্যান্সারে আক্রান্ত ক্রিস কেয়ার্নস
অনলাইন ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের সাবেক তারকা ক্রিকেটার ক্রিস কেয়ার্নসের অস্ত্রোপচারের পর পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন। জানা গেল, মারণ ক্যান্সার থাবা বসিয়েছে সাবেক এই ক্রিকেটারের শরীরে।
বিশ্বের একসময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ক্রিস কেয়ার্নস সোশ্য়াল মিডিয়ায় লেখেন, “সামনে আবার একটা কঠিন লড়াই। এবার আশা করছি প্রথম রাউন্ডে একটা সুইফ্ট আপার কাট হবে।” এরপরই তিনি যোগ করেন, “গতকালই জানতে পারলাম আমার পেটে ক্যানসার হয়েছে। শুনেই বড় ধাক্কা খেলাম। কারণ এমন কিছু একদমই অপ্রত্যাশিত ছিল। তাই নতুন করে আবার চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করলাম। তবে প্রথম স্টেজেই যে ক্যান্সারটা ধরা পড়েছে, তাতেই নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
গত বছর আগস্টে ক্যানবেরায় থাকাকালীন ধমনী ছিঁড়ে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছিল তার। তার আগেও একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছিল। সব মিলিয়েই তার অসুস্থতা বাড়ে। প্রভাব পড়ে হৃৎপিণ্ডতেও। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
কিন্তু যেভাবে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দেবেন বলে আশা করেছিলেন চিকিৎসকরা তেমনটা হয়নি। ফলে পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে আরও ভাল চিকিৎসার জন্য সিডনির স্পেশ্যাল হাসপাতালে স্থানান্তরিতও করা হয়েছিল ক্রিস কেয়ার্নসকে। হৃদরোগের কারণে হয় অস্ত্রোপচার। কিন্তু অস্ত্রোপচারের সময় পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন তিনি।
দীর্ঘ ৫ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে গত সপ্তাহে ছুটি পেয়েছিলেন হাসপাতাল থেকে। কিন্তু এরপরই সামনে এলো তার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর।
মাত্র ১৭ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ক্রিস। নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে খেলেছেন ৬২টি টেস্টে এবং ২১৫টি ওয়ানডে ম্যাচ। টেস্টে তিন হাজারেরও বেশি এবং একদিনের ক্রিকেটে রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার রান। দুই ফরম্যাটেই ২০০ এর বেশি উইকেট রয়েছে ক্রিসের ঝুলিতে। অলরাউন্ডার হিসেবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ২০০০ সালে উইসডেন ক্রিকেটারের সম্মানও পেয়েছিলেন তিনি।
২০০৪ সালে টেস্ট থেকে অবসর ঘোষণার সময় নিউজিল্যান্ড ‘অর্ডার অফ মেরিট’ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন এই তারকা। যদিও ক্যারিয়ারের শেষে তার গায়ে লেগেছিল ম্যাচ গড়াপেটার কালো দাগ। ক্রিকেট মহলে কুড়িয়েছিলেন সমালোচনা। তবে ব্রিটেনের আদালত পরে তাকে বেকসুর খালাসই করেছিল।