নিজস্ব সংবাদদাতা
২২ জানুয়ারি, ২০২২, 4:11 PM
করোনা শেষ হলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে-পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক
মোরশেদ আলম, পটিয়া-কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশের সব জায়গায় ভরাট হয়ে যাওয়া খাল গুলো খনন করার জন্য ইতোমধ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় প্রকল্প হাতে নিয়ে তা বাস্তবায়ন করছে। মহামারী করোনার এই সময়ে মানুষের রুটি রুজি আয় বন্ধ হয়ে গেছে যার কারণে এখন যে খাল গুলো দখল করে স্থাপণা নির্মাণ করা হয়েছে তা উচ্ছেদ করা হবে না। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মানুষের জীবন জীবীকা আগের অবস্থায় ফিরে আসলে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
গতকাল শুক্রবার(২১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা চৌমুহনী, নয়াহাট থেকে চরলইক্ষ্যা খালের ৮ কিলোমিটার পূণঃ খনন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলী উপজেলার এই খালটি দীর্ঘদিন ধরে ভরাট ছিল। যার কারনে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাষণ হত না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই খালটি পুনঃ খনন কাজের নির্দেশ দিলে তা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গতবছর ৫ বার বন্যা হয়েছিল কিন্তু বাঁধ ভেঙ্গে যায়নি। আমরা যদি ভরাট হয়ে যাওয়া নদী, খাল গুলো খনন কাজ শেষ করতে পারি তাহলে বিপুল পরিমাণে যে পানি নেমে আসে উজান তীরে তার ধারণ ক্ষমতা বাড়বে। ডেল্টা প্লানের আওতায় ইতোমধ্যে আমরা অনেক নদী, মরা খাল উদ্ধার করে খনন কাজ শুরু করেছি আশা করছি আমরা কয়েকবছরের মধ্যে দখল হয়ে যাওয়া দেশের সকল নদী, খাল উদ্ধার করে খনন কাজ শুরু করতে পারব।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক অখিল কুমার বিশ্বাস, প্রধান প্রকোশলী রমজান আলী প্রামানিক, চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকোশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা, কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, ইউএনও শাহিনা সুলতানা, এসিল্যান্ড শিরিন আকতার, শিকলবাহা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহাঙ্গির আলম, চরলক্ষ্যা ইউপি চেয়ারম্যান সোলায়মান তালুকদার প্রমুখ।
প্রকল্পটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর প্যাকেজ ই-জিপি-১২/ এনভিআর/খাল/আনোয়ারা/২০২০-২০২১ প্রাক্কলিত মূল্য ২কোটি ২৬ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা চৌমুহনী, নয়াহাট থেকে চরলইক্ষ্যা খালের ৮.১২০কিলোমিটার পূণঃ খনন কাজ গত বছরের ৬ই জুন শুরু হয়। কাজ শেষ হওয়ার মেয়াদ চলতি বছরের ৩১শে মে। ইতোমধ্যে খালটির প্রায় ৬০% কাজ শেষ হয়েছে।