ঢাকা ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা পটিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় দুই চুরি, এক আত্মহত্যা : চরম উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা

একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় সকল আসামিকে খালাস দেওয়ার প্রতিবাদে আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিমের বিবৃতি

#

০১ ডিসেম্বর, ২০২৪,  8:59 PM

news image

একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা  মামলায় সকল আসামিকে খালাস দেওয়ার প্রতিবাদে আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিমের বিবৃতিতে বলেন,  গণতান্ত্রিক সভ্যতার ইতিহাসে ২১শে আগস্ট একটি কালো দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কতৃক আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। যা মানবসভ্যতার ইতিহাসে একটি জঘন্যতম ঘটনা। আর আদালতকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে সেই নৃশংসতম ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের খালাস প্রদান করে নিকৃষ্টতম নজির স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে এই নারকীয় হামলা চালানো হয়েছিল। বর্বরোচিত সেই  হামলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি  বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন, একটি কানের শ্রবণশক্তি চিরতরে হারিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানববর্ম তৈরি করে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাণ রক্ষা করেছিলেন। কিন্তু নারকীয় এই হামলায় ঝরে পড়েছিল নারীনেত্রী আইভি রহমান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কুদ্দুস পাটোয়ারিসহ সতেজ ২৪টি প্রাণ এবং আহত হয়েছিল সহস্রাধিক নেতাকর্মী। যারা এখনো গ্রেনেডের স্প্লিন্টার শরীরে বহন করে প্রতিনয়ত মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করছে। সেদিনের ঘটনায় আমিও নির্মম ও নিষ্ঠুর আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হই। স্প্লিন্টারের দুঃসহ যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছি। সেই নারকীয় ঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্য ও আহতদের জন্য আজ আরেকটি দুঃস্বপ্নের দিন। নিরুপায় হওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার  সর্বশেষ জায়গা হলো আদালত। কিন্তু সেই আদালতকে আজ ব্যবহার করে আমাদের বিচার প্রাপ্তির পথকে রুদ্ধ করা হয়েছে। আজ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে আদালতের অন্তর্দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের  সর্বোচ্চ আদালত কতৃক এ সমস্ত চিহ্নিত আত্মসীকারোক্তি প্রদানকারী খুনিদের খালাস দেওয়া হলো। যেটা সম্পূর্ণভাবে আইনের শাসনের ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। তবে এটা এখানেই শেষ নয়। আমরা মনে করি, দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ যখনই সুযোগ পাবে তখনই পুনরায় উচ্চ আদালতে যাবে। আর পাশাপাশি আমরা এই নারকীয় ঘটনায় দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার সংগ্রামে নিরন্তরভাবে লিপ্ত থাকব।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী