ইরানের বিপ্লবী গার্ডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করল কানাডা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০ জুন, ২০২৪, 1:47 PM

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০ জুন, ২০২৪, 1:47 PM

ইরানের বিপ্লবী গার্ডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করল কানাডা
ইরানের ইসলামিক রিভোলিউশনারি গার্ড কোর বা আইজিআরসি-কে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি 'সন্ত্রাসী সংগঠন' হিসেবে ঘোষণা করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা।
কানাডার এই পদক্ষেপের অর্থ হল আইআরজিসির শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ইরানি হাজার হাজার উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের কানাডায় প্রবেশে বাধা দেওয়া হবে। খবর বিবিসির।
এছাড়া এই সিদ্ধান্তের পর কানাডায় থাকা বর্তমান এবং সাবেক ইরানি সরকারি কর্মকর্তাদেরও তদন্ত করে দেশটি থেকে বের করে দেয়া হতে পারে।
স্থানীয় সময় বুধবার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কানাডার জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্ক। এই পদক্ষেপকে তিনি বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার বলে অভিহিত করেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র আইজিআরসি-কে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং যুক্তরাজ্য এই সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
কানাডীয় সরকারের মতে, আইআরজিসি তার বিদেশী অপারেশন বাহু কুদস (জেরুজালেম) ফোর্সের মাধ্যমে মিত্র সরকার এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অর্থ, অস্ত্র, প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ প্রদান করে মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার করে।
তবে, কুদস ফোর্সকেও অনেক আগেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল কানাডা। এবার এই তালিকায় আইআরজিসি এল।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, কানাডার জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, এই পদক্ষেপ একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠায় যে কানাডা আইআরজিসির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাদের সমস্ত পদ্ধতি ব্যবহার করবে।
এই ঘোষণার পরে বর্তমানে ইরানে অবস্থান করা কানাডার নাগরিকদের সতর্ক করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী মেলানি জোলি।
তিনি বলেন, “ইরানে কানাডিয়ানরা এই ঘোষণার পরে নির্বিচারে আটকের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। যারা এই মুহূর্তে ইরানে আছেন, তাদের দেশে ফিরে আসার সময় হয়েছে এবং যারা ইরানে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তারা যাবেন না।"
২০২০ সালের জানুয়ারিতে তেহরান বিমানবন্দরে ফ্লাইট পিএস৫২ গুলিবর্ষণ করে ভূপাতিত করে আইআরজিসি। ফ্লাইটটিতে ৫৫ কানাডিয়ান নাগরিক এবং কানাডার ৩০ জন স্থায়ী বাসিন্দাসহ বিমানটিতে থাকা ১৭৫ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন।
যদিও তেহরান দাবি করেছিল, বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটি ভুলবশত করা হয়েছিল।
এরপর থেকেই আইআরজিসিকে নিষেধাজ্ঞা দিতে নিহতদের পরিবারের সদস্যরাসহ কানাডার অনেকেই প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে চাপ দিয়ে আসছিল।
ইসলামিক রিভোলিউশনারি গার্ড কোর বা আইজিআরসি ইরানের প্রধান সামরিক বাহিনী। এটি দেশটির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির হাতিয়ার। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এই বাহিনীটি।
এ বাহিনীর সক্রিয় সদস্য সংখ্যা ১৯০,০০০ এবং তাদের নিজস্ব স্থল, বিমান ও নৌবাহিনী আছে। তা ছাড়া ইরানের কৌশলগত অস্ত্রসমূহেরও দেখাশোনা করে তারাই।