ইউরোপজুড়ে আয়ু বৃদ্ধি কমেছে, ইংল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি পতন: গবেষণা
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 4:36 PM

নিজস্ব সংবাদদাতা
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 4:36 PM

ইউরোপজুড়ে আয়ু বৃদ্ধি কমেছে, ইংল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি পতন: গবেষণা
ইউরোপজুড়ে আয়ু বৃদ্ধির গতি কমে গেছে। এর মধ্যে ইংল্যান্ডে এই পতন সবচেয়ে তীব্র। ল্যানসেট পাবলিক হেলথ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ইউরোপে গড় আয়ু বার্ষিক ০.২৩ বছর হারে বাড়লেও ২০১১ থেকে ২০১৯ সালে তা কমে দাঁড়ায় ০.১৫ বছরে। গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ২০টি দেশের মধ্যে নরওয়ে বাদে সবকটিতেই আয়ু বৃদ্ধির গতি হ্রাস পেয়েছে।
ইংল্যান্ডে আয়ু বৃদ্ধির বার্ষিক গতি সর্বাধিক ০.১৮ বছর কমেছে (০.২৫ থেকে ০.০৭)। এরপরই উত্তর আয়ারল্যান্ড (০.১৬), ওয়েলস ও স্কটল্যান্ডে (০.১৫) পতন। এনএইচএস ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক সারাহ প্রাইস বলেন, "হৃদরোগ ও ক্যান্সারের মতো কারণগুলোর মূলে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। স্থূলতা মোকাবিলায় সমাজব্যাপী পদক্ষেপ জরুরি।"
ইস্ট অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে এই গবেষণায় ২০১৯-২০২১ সালে কোভিডকালে আয়ু হ্রাসের তথ্য উঠে এসেছে। গ্রিস ও ইংল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি পতন ঘটলেও নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্কের মতো দেশগুলো আয়ু বাড়াতে সক্ষম হয়। গবেষকরা বলছেন, হৃদরোগ ও ক্যান্সারে মৃত্যু কমিয়ে এসব দেশ সাফল্য পেয়েছে।
ইউইএ-র অধ্যাপক নিকোলাস স্টিলের মতে, "ইংল্যান্ডে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য, নিষ্ক্রিয়তা ও স্থূলতার হার দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। সরকারি নীতিমালার মাধ্যমে খাদ্য শিল্পের সাথে সমন্বয় করে জনগণের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সহজ করতে হবে।"
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী ১০ বছরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। একটি মুখপাত্র বলেন, "আমরা চাই মানুষ দীর্ঘ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুক।"