NL24 News
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 1:13 PM
ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার পোষণ করেছেন বাইডেন ও পুতিন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে ইউক্রেনে। পশ্চিমের দেশসমূহের সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যে যুদ্ধাবস্থা শুরু হয়েছে তারই উত্তেজনা নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভের মধ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারি হতে যাওয়া বৈঠকের পর পুতিন-বাইডেনের বৈঠক হতে পারে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছ থেকে পুতিন-বাইডেনের মধ্যকার প্রস্তাবিত শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তাবটি এসেছে।
গতকাল রোববার ম্যাক্রোঁর সাথে টেলিফোনে আলাপকালে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে অস্ত্রবিরতির জন্য কাজ করতে সম্মতি জানান রুশ প্রেসিডেন্ট। ম্যাক্রোঁর সাথে প্রায় ১০৫ মিনিট ধরে টেলিফোনে আলোচনা করেন ভ্লাদিমির পুতিন।
এরপর স্থানীয় সময় রোববার রাতে জেন সাকি এক বিবৃতিতে বলেন, ফ্রান্সের বিবৃতির প্রেক্ষিতে বাইডেন নীতিগতভাবে পুতিনের সাথে বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন। তবে শর্ত থাকছে —রাশিয়া যদি (ইউক্রেনে) কোনো হামলা না চালায়।’
জেন সাকি আরো বলেন, রাশিয়া যদি কূটনীতির পরিবর্তে যুদ্ধ বেছে নেয়, তাহলে আমরা দ্রুত ও গুরুতর পরিণতি নিশ্চিত করতেও প্রস্তুত রয়েছি। আর এ মুহূর্তের পরিস্থিতি হলো, রাশিয়া খুব শিগগির ইউক্রেনের ওপর পূর্ণ মাত্রার হামলার প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
এই বৈঠকের আয়োজন উপলক্ষ্যে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকবার টেলিফোন সংলাপ হয়েছে ম্যাক্রোঁ, বাইডেন, পুতিন ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মধ্যে। তবে সেসব সংলাপে এই রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে কী আলাপ-আলোচনা হয়েছে— সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সংকট মূলত পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ও রাশিয়ার প্রতিবেশীরাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই সংকট শুরু হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বেড়েছে এই উত্তেজনা।