নিজস্ব সংবাদদাতা
২৭ মে, ২০২৪, 12:36 PM
শক্তি হারাল রেমাল, নামল মহাবিপদসংকেত
কয়রা-খুলনার কাছে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় রেমাল উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসেবে বর্তমানে যশোর ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমে বৃষ্টিপাত ঝরিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) সকাল ১০টায় আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশীদের সই করা আবহাওয়ার ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদসংকেত নামিয়ে চারটি বন্দরেই ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টির সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে ড. মো. বজলুর রশীদ বলেন, রেমাল বর্তমানে কয়রা-খুলনার কাছে অবস্থান করছে। এটি আরও বৃষ্টি ঝরিয়ে নিম্নচাপ ও ক্রমে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারা দেশেই বৃষ্টি হচ্ছে। তার মধ্যে কোথাও কোথাও ভারী ও অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতি নিয়ে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ বাতাস ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়। সেখানে প্রতি ঘণ্টায় এর গতিবেগ ছিল ১১১ কিলোমিটার, সাতক্ষীরায় ৭০, মোংলায় ৮০, চট্টগ্রামে ৭৪ ও ঢাকায় ৫৯ কিলোমিটার। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুতুবদিয়ায় ১২৫ মিলিমিটার।