নিজস্ব সংবাদদাতা
২৬ মে, ২০২৪, 9:49 AM
রেমাল এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়, দুই বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় রেমাল এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। গতি বাড়িয়ে এখন এটি বাংলাদেশের পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে যেকোনো সময় এটি স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে।
এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে যে গভীর নিম্নচাপটি ছিল, সেটি শনিবার ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নেয়। রোববার সকালে সেটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। গতি সঞ্চয় করে এটি বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও ভারতের সাগর দ্বীপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ (রোববার) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত নাগাদ এটি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।
এই আবহাওয়াবিদ জানালেন, রোববার সকালে পায়রা বন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এর দূরত্ব ছিল ৩৩০ কিলোমিটার। প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের আশপাশে একটানা সর্বোচ্চ প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে।
ওমর ফারুক বলেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই রেমাল স্থলভাগে আঘাত করতে পারে। এটি সরাসরি খেপুপাড়া ও সাগরদ্বীপের ওপর দিয়ে স্থলভাগে উঠতে পারে। এ কারণে মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি রেমাল চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ডানে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে এই দুই বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলের প্রায় ১৫টি জেলাতে ৩ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসনগুলো। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকেও জানানো হয়েছে, রেমালের প্রভাব মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।