NL24 News
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 7:03 PM
মাইক টাঙ্গিয়ে সেবা দিচ্ছে কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ
জুয়েল চৌধুরী, মহেশখালী
কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদে সকালে গিয়ে দেখা মিলে কয়েকটি গ্রুপে উৎসুক জনতা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। বিকালের চিত্র ঠিক তার উল্টো। নেই কোন ভীড়, নেই কোন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো। লক্ষ্য করার বিষয় ছিল প্রতিটি চেহেরায় আনন্দ ও উৎফুল্লতা।
অনেকেই বলেছেন, বিগত সাড়ে চার বছরের মধ্যে পরিষদ কর্তৃক এটিই সর্বোচ্চ সেবা। এখন আগের মতো বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়না। এতদিন সেবা থেকে বঞ্চিত থাকায় প্রত্যেকেই সচিবকেই দোষছেন। বানিজ্যের উদ্দেশ্যে সবিচ এতৎযাবৎ সাধারণ মানুষদের হয়রানি করেছেন বলেই অনেকে মন্তব্য করেছেন।
একজন সেবা গ্রহীতা বলেন, গেল বছরে মেয়ের জন্ম নিবন্ধন নিয়ে আট দশবার এসে ফিরতে হয়েছে। সচিব বারবার কথা দিয়ে রাখেনি। আমিও বুঝেনি যে টাকার জন্য বিলম্বিত হচ্ছে। এবার অফিস সহকারী রবি উল্লাহকে ফাইল জমা দেয়ার ৭দিন পর পেয়ে গেলাম। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নামাজে দোয়া করবেন বলে জানান।
পরিষদের অফিস সহকারী রবি উল্লাহ সিকদার জানান, চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে বিনামূল্যে জন্ম নিবন্ধনের কাজ এক মাসের মধ্যে শেষ করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। তারই অংশ বিশেষ পরিষদ ভিত্তিক ডিজিটাল উদ্যোক্তা মফিজুর রহমান ও আকতার হোছাইনসহ সকলেই দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এসব কথা বলার একপর্যায়ে সচিবের বিষয়ে কি একটা কথা বলতে গিয়ে ঘু ঘু করে আর বলেন নি তিনি।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে মানুষের মনের কথা বুঝার চেষ্টা করেছি। প্রত্যেকের একটি অভিযোগ ছিল ঠিক সময়ে পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন সেবা পাচ্ছেনা। তাই আমি দ্রুত উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথ বলে জনস্বার্থে জন্ম নিবন্ধন সেবা চালু করেছি। প্রতিজনের জন্ম নিবন্ধনের সরকারি ফি তিনি বহন করেন বলেন জানান।
মহেশখালী উপজেলার সবকটি পরিষদেই একটি জন্মনিবন্ধন যেন একেকজন মানুষের আর্তনাত ও নিদারুণ বোবা কান্না। বিশেষকরে দেশে গরীব লোকেরাই এই বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। গেল তিন দশকে জন্ম নিবন্ধন হালনাগাদে সরকারগুলো সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে। হিসাব বলছে কমপক্ষে আবশ্যিক ১৬টি পরিষেবা পেতে জন্ম নিবন্ধন সর্বপ্রথম দরকার।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান , একই ব্যক্তির নামে ভিন্ন ভিন্ন জন্ম তারিখ, নাম, ঠিকানা বদল করে কিছু অসাধু লোক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মুলতঃ তাদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে আমরা তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে উপজেলায় আসতে বলি। তথ্য যাচাই-বাছাই করে সব ঠিকটাক পেলে সাথে সাথে কাজ করে দেওয়া হয় বলে জানান। এসময় তিনি মহেশখালীর সব ইউনিয়নে সেবার মান বাড়াতে অনুরোধ জানান।