ঢাকা ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
দক্ষিণ ভূর্ষি শীতলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাঞ্চন নাথ, সম্পাদক সুমন দেবনাথ “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম “টাইফয়েড এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা"—সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা: ছাত্রদল কমিটিতে ‘শিবির সংশ্লিষ্টতার' অভিযোগ পটিয়ায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা পটিয়ায় ভূমি অফিসে দালালবিরোধী অভিযান, এক যুবকের সাজা ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৪২ পটিয়ায় একই দিনে অজ্ঞান পার্টির প্রতারণা ও দরজা কেটে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে স্বর্ণালংকার- নগদ টাকা হারালেন বৃদ্ধা পটিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় দুই চুরি, এক আত্মহত্যা : চরম উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা

পদ্মার চরজুড়ে মিষ্টি আলুর আবাদ

#

০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২,  6:42 PM

news image
মিষ্টি আলুর আবাদ

নিজস্ব প্রতিনিধি : পদ্মার চরজুড়ে মিষ্টি আলুর আবাদ করা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ আলু নিয়ে যাওয়া হয়।

উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের পদ্মার চরে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষেতজুড়ে আবাদ করা হয়েছে মিষ্টি আলু। তবে কেউ কেউ আগাম জাতের আলু কোদাল দিয়ে মাটি কুপিয়ে আলগা করে তোলা শুরু করেছেন।

পদ্মার চরের আলু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার পদ্মার চকরাজাপুরসহ ১৫টি চরে অগ্রাহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে থেকে শুরু হয় মিষ্টি আলুর চারা রোপণ। ফাল্গুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে থেকে মিষ্টি আলু মাটির নিচে পরিপক্ব হয় এবং আগাম জাতের আলু তোলা শুরু হয়। চৈত্র ও বৈশাখ মাসে পুরোপুরি আলু তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে চাষিরা।

কালিদাসখালী চরের কৃষক মেহেদী হাসান বলেন, এ মৌসুমে দুই একর জমিতে মিষ্টি আলু আবাদ করেছি। প্রতি একরে ২৫০ মণ ফলন আশা করছি। গত বছর প্রতি মণ মিষ্টি আলু পাইকারি ৪০০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। দুই একর জমিতে চারা রোপণ ও আলু তোলা পর্যন্ত মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। বিক্রি দেড়  লক্ষ টাকা আশা করছি।

এ চরে আগে কোনো আবাদ হতো না। বর্তমানে মিষ্টি আলুর আবাদ করছি। তবে এ আলু বিক্রি করতে কোনো কষ্ট করতে হয় না। দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে জমি থেকে আলু তোলার পর নিয়ে যান।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি পদ্মার চরে বিদ্যুতের আলোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। পাশাপাশি একটি হিমাগাগের ব্যবস্থা করলে আলুগুলো হিমাগারে রেখে, পরে বিক্রি করতে পারলে লাভ আরও বেশি হতো। পচনের ভয়ে কম দামে বিক্রি করে দিতে হয়।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, এ বছর মিষ্টি আলু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন আশা করছি। চলতি মৌসুমে ৪৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর আবাদ হয়েছে। স্থানীয় জাতের পাশাপাশি হাইব্রিড জাতের মিষ্টি আলুর আবাদ করেছেন চাষিরা।

logo

প্রধান সম্পাদক : হেফাজুল করিম রকিব

সম্পাদক : নূরুন্নবী আলী