NL24 News
১১ জানুয়ারি, ২০২২, 12:33 PM
করোনায় জন্ম বলে পরীর সন্তানের নাম ‘করোনা’
চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
২০১৬ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১১ মাস বয়সী রাজ ও ৯ মাস বয়সী পরীকে আনা হয় বাংলাদেশে। এরপর এ বাঘ দম্পতির ঠাঁই হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। সেই থেকে তাদের প্রায় পাঁচ বছরের সংসার। আর এ পাঁচ বছরের সংসারে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছে রাজ ও পরী।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দ্বিতীয়বারের মতো একটি বাচ্চা প্রসব করে পরী। করোনাকালে জন্ম নেয়ায় যার নাম রাখা হয় ‘করোনা’।
এর আগে, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে প্রথম তিনটি ছানা জন্ম দেয় এ বাঘ দম্পতি। যার মধ্যে একটির মৃত্যু হলেও বেঁচে যায় দুটি। বেঁচে যাওয়া দুটিই ছিল বাঘিনী। তাদের নাম রাখা হয় শুভ্রা ও জয়া। এর মধ্যে শুভ্রা বিরল সাদা বাঘ।
সর্বশেষ গত বছরের ৬ মে আরো তিনটি বাচ্চা প্রসব করে পরী। সেই তিনটিরই গায়ের রং লাল।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, আগে দুবার বাচ্চা প্রসব করেছিল পরী। এর মধ্যে তিনটি বেঁচে আছে। নতুন তিনটিসহ তার সন্তান সংখ্যা এখন ছয়।
অন্যদিকে, ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর পরীর মেয়ে জয়ার ঘরে তিনটি ছানার জন্ম হয়। কিন্তু এর মধ্যে দুটির মৃত্যু হলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় একটি। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে বেঁচে যাওয়া সেই শাবকটির নাম রাখা হয় ‘জো বাইডেন’।
জন্মের পর থেকে মানুষের সঙ্গে থেকে মানুষের স্নেহেই বেড়ে উঠছিল বাইডেন। ফলে মানুষকেই আপন করে নিয়েছিল সে। কিন্তু পরবর্তীতে চিরাচরিত নিয়মে তাকে ফিরে যেতে হয় বন্দি খাঁচায়। বয়স পাঁচ মাস পূর্ণ হওয়ায় গত বছরের ২১ এপ্রিল তাকে খাঁচায় ছেড়ে দেয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
সে সময় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, জন্মের পর মায়ের দুধ না পেয়ে তিনটির মধ্যে দুটি শাবকের মৃত্যু হয়েছিল। ফলে অপরটিকে মায়ের কাছ থেকে সরিয়ে আলাদা রাখা হয়। সেখানে খেলনা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা হয় তার জন্য। ছোট শিশুদের মতোই ফিডারে দুধ খাওয়ানো হতো তাকে। শুরুতে বাজারে পাওয়া বিড়ালের দুধ খাওয়ানো হতো। পরে ছাগলের দুধের সঙ্গে অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে খাওয়ানো হতো। এতে শারীরিকভাবে বেশ পরিবর্তন আসে তার।