NL24 News
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 10:46 AM
উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান না চিকিৎসকরা
নিজস্ব প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের ৫টি উপজেলার ১৩টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা দিতে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান না চিকিৎসকরা। কাগজে-কলমে বছরের পর বছর পদ থাকলেও তাদের চেনেন না কেন্দ্রের কর্মকর্তারাও।
এভাবেই চলছে ঝিনাইদহের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। গ্রামের মানুষকে সেবা নিতে ছুটতে হয় উপজেলা বা জেলা হাসপাতালে। করোনা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন।
ঝিনাইদহ শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে শৈলকুপা উপজেলার 'আবাইপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র'। ২০১৯ সালে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে একজন বিসিএস চিকিৎসকের পদায়ন হলেও সেখানে তার দেখা মেলেনি কোনোদিনই।
উপস্থিত থাকেন না সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তারাও। একজন অফিস সহায়ক দিচ্ছেন স্বাস্থ্যসেবা। দিনের পর দিন এভাবেই চলছে কেন্দ্রটি।
একই অবস্থা কালীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের। একজন বিসিএস চিকিৎসক নিয়োগ থাকলেও চেনেন না ওই কেন্দ্রেরই কর্মকর্তারা। আর লোকবলের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
করোনা পরিস্থিতিতে এ সমস্যা জানিয়ে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন। ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. শামীম কবির বলেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় অনেকে আসতে পারছেন না। আবার অনেকে করোনা হাসপাতালে ডিউটি করছেন। ডাক্তার যাতে ওই এলাকায় থাকে তার ব্যবস্থা নেব।
এতে চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী। তারা বলেন, ডাক্তারের চেহারা কেমন তাও দেখিনি আমরা। সে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে এখানে আর আসেনি। কত কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে তা আমরাই জানি।
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন সেবা নিতে আসেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ।